বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০

জ্বরে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


একোনাইটঃ অত্যন্ত গাত্র দাহ, প্রবল পিপাসা, ভয়ানক অন্তর্দ্দাহ, ছটফটানি, যন্ত্রনায় একেবারে অস্থির হইয়া পড়িয়াছে, নাড়ীর গতি অত্যন্ত দ্রুত, গায়ে ঘর্ম্মের লেশ মাত্র নাই, চর্ম্ম শুষ্ক ও খসখসে।


বেলেডোনাঃ গা অত্যন্ত গরম থাকে, এত গরম যেন হাত পুড়িয়া যায়, মধ্যে মধ্যে ঘাম হয়, কখনও কখনও ঘাম এত অধিক হয় যেন মনে হয় বুঝি এইবার জ্বর ছাড়িল, কিন্তু তখনই আবার তেমনই জ্বর ও গা গরম, ঘর্ম শুষ্ক হইয়া যায়। যে অঙ্গ গুলো চাপা থাকে তথায় অধিক ঘাম হয়। রোগীর ঘুম আসে কিন্তু ঘুম হয় না মাঝে মাঝে চমকাইয়া উঠে। জ্বর হঠাৎ আসিয়া কষ্টদায়ক যন্ত্রণাদির পর হঠাৎ কমিয়া যায়, রোগীর চোখ মুখ থমথমে ও লালবর্ণ দেখায়, অল্পতেই ঠান্ডা লাগিয়া জ্বর হয়। অত্যন্ত মাথাব্যথা থাকে।
ব্রায়োনিয়াঃ রোগী নির্ঝুম হইয়া পড়িয়া থাকে, লক্ষণ নড়ন চড়নে বৃদ্ধি। সমস্ত শরীর ব্যথা, উহা নড়ন চড়নে বৃদ্ধি টিপিয়া দিলে উপশম হয়। রোগী উঠিয়া বসিলে মাথা ঘোরে গা-বমি বমি ভাব ও বমি। মুখের স্বাদ তিক্ত, জিহ্বায় সাদা বা হরিদ্রাবর্ণের লেপ পড়ে। অল্প ঘাম হয়। কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় না। পিপাসায় একসাথে অধিক পানি পান করে। ঘন ঘন পানি পান করে না। শীতল জল চায়।
জেলসিমিয়মঃ রোগী তন্দ্রাচ্ছন্ন ও অঘোরভাবে চুপ করিয়া পড়িয়া থাকে, কথাও বলে না-চাহিয়াও দেখে না, ইহাতে পিপাসা বড় একটা থাকে না। এতে রোগীর স্নায়ু দূর্বলতার জন্য রোগী চুপ করিয়অ পড়িয়া থাকে। হঠাৎ আনন্দ, ভয়, উত্তেজক কোন সংবাদ হইতে পীড়ার উৎপত্তি হলে। প্রবল মাথা ঘোরা ও দূর্বলতা।
আর্সেনিক এল্বমঃ ছটফটানি, গাত্রদাহ ও অত্যন্ত পিপাসা। পিপাসায় ঘন ঘন অল্প অল্প পরিমানে পানি পান করে একত্রে অধিক পানি পান করিতে পারে না কারন এতে রোগীর বমি হয়। অত্যন্ত দূর্বলতার কারনে শুয়ে থাকে। নাসিকা দিয়ে তরল জল। সামান্য ঠান্ডা লাগিয়াই পীড়া। জিহ্বা শুষ্ক, লালবর্ণের হয়। জ্বালা গরমে উপশম হয়। গাত্র জ্বালাজনক বেদনা।
রস টক্সঃ অত্যন্ত অস্থিরতা, ছটফটানি ও গাত্রদাহ। গাত্র বেদনা বিশেষত মাংসপেশীর বেদনা, বেদনার জন্য ছটফট করে ও তাহাতে বেদনার উপশম হয় এবং স্থির হইয়া থাকিলে বরং কষ্টের বৃদ্ধি হয়। জিহ্বার ডগায় লালবর্ণের একপ্রকার ত্রিভুজাকার দাগ দেখা যায়। অত্যন্ত ঘর্ম ও পিপাসা। বৃষ্টিতে ভিজিয়া বা ভিজা মাটিতে থাকিয়া পীড়া হইলে।
এলস্টোনিয়াঃ টাইফয়েড জ্বরের পর ও অন্য জ্বরে রক্তহীনতা দুর্ব্বলতায়।
আর্নিকাঃ আঘাত লাগিয়া পীড়ায়।
ব্যাপটিসিয়াঃ ছটফটানি বা তন্দ্রাচ্ছন্নভাব, প্রলাপ বকা, সমস্ত স্রাবে দুর্গন্ধ, ডাকিয়া সাড়া দিয়া আবার আচ্ছন্ন হয়, গায়ে বেদনা।
ক্রোটেলাসঃ জ্বরে নাক, মুখ, প্রস্রাবদ্বার প্রভৃতি স্থান হইতে রক্তস্রাব।
ইউপেটোরিয়াম পার্ফোঃ জ্বরে হাড়ভাঙ্গা বেদনা ও পিত্তবমি বা বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা।
ইপিকাকঃ জ্বরে বমি বা বমি বমি ভাব, জিহ্বা পরিষ্কার।
ডালকামারাঃ কাঁদা বা ভিজা মাটিতে কাজ করিয়া, ঠান্ডা লাগিয়া জ্বর হইলে।
সর্দ্দি জ্বরঃ একোনাইট, ইপিকাক, আর্সেনিক, জেলসিমিয়ম, এলিয়ম সিপা, ব্রায়োনিয়া, মার্কসল, পালসেটিলা, এন্টিম টার্ট।
ঠান্ডা লাগিয়া জ্বরঃ একোনাইট, বেলেডোনা, ডালকামারা, রস টক্স, মার্ক সল, ব্রায়োনিয়া।

বিঃদ্রঃ নিজ উদ্দোগে কোন ঔষধ সেবন করবেন না, নিকটস্থ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি ঔষধ সেবন করুন।


Share:

সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০২০

COVID-19 এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


COVID-19 এর মহামারীটি আক্রমণাত্মকভাবে সর্বত্র প্রসারিত হয় এবং এর প্রভাব আমাদের চারপাশে আক্রান্ত রোগীদের প্রতিদিনের ক্রমবর্ধমান হারে দেখা যাচ্ছে। সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা এই দুর্ঘটনা কাটিয়ে উঠার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে, তবে কেউই এর টেকসই ফলাফল অর্জন করতে পারেনি।
হোমিওপ্যাথিক নিরাময়ের প্রাকৃতিক এবং সূক্ষ্মমাত্রা কোনও ব্যক্তির কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতি ছাড়াই তার স্বাস্থ্যের পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করে। হোমিওপ্যাথি এই ধরনের মহামারী সংকটে খুব সহায়ক প্রমাণ করতে পারে।





মহামারী সম্পর্কে বিভ্রান্তি

এখন আমরা এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যখন বিভিন্ন প্রবীণ ব্যক্তিরা বিভিন্ন প্রতিকারের পরামর্শ দিচ্ছেন, তাই এই মহামারী সম্পর্কে সমস্ত হোমিওপ্যাথিতে প্রচুর বিভ্রান্তি রয়েছে।
স্কারলেট জ্বরের মহামারী চলাকালীন, অসংখ্য রোগীদের চিকিৎসার পরে ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান একই ধরণের ক্লিনিকাল উপস্থাপনা সহ রোগীদের পর্যবেক্ষণ করেছেন। লক্ষণগুলি বিশ্লেষণ করার পরে, তিনি এই রোগীদের নিরাময়ে ‘বেলাডোনা দরকারী বলে মনে করেন। ডাঃ হ্যানিম্যানের মতে এই ঔষধটি কেবল সেই রোগীদের নিরাময়ই করে না শুধু বরং এটি কার্যকর প্রতিষেধক ওষুধ হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপরে তিনি এ পরিস্থিতিতে একে “মহামারী” বলে অভিহিত করেছেন।
প্রতিটি রোগীর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পৃথক পৃথক পরীক্ষার পরে, তবেই হোমিওপ্যাথ উপযুক্ত হোমোওপ্যাথিক প্রতিকার সন্ধানে সফল হতে পারে। সুতরাং, মহামারী কেবল প্রাদুর্ভাবের লক্ষণ চিত্রটি ঘনিষ্ঠভাবে অধ্যয়ন করার পরে চিহ্নিত করা যেতে পারে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে, WHO COVID-19 কে একটি মহামারী রোগ হিসাবে ঘোষণা করেছে।
হোমিওপ্যাথি যেমন একটি ভাইরাল প্রকোপ চিকিৎসা এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তবুও হোমিওপ্যাথিক ভ্রাতৃত্বের COVID-19 -এর চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলির অভাব রয়েছে।
(বিশেষত ভারতে খুব কম সংখ্যক নিশ্চিত হওয়া মামলা রয়েছে) তাই এখন পর্যন্ত আমরা মহামারী হিসাবে কোনও প্রতিকার ঘোষণা করতে পারি না।

হোমিওপ্যাথি কীভাবে সহায়তা করতে পারে

করোনার ভাইরাসের উদ্ভাসের বর্তমান উপলব্ধ ডেটা অনুসারে আমরা এর জন্য নিম্নোক্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দিতে পারি।

COVID-19 এর লক্ষণগুলি হ'ল:

শুষ্ক কাশি
নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
জ্বর
গলা ব্যথা
মাথা ব্যথা
অবসাদ
শরীরে ব্যথা এবং ব্যথা
ডায়রিয়া
প্রবাহিত বা বদ্ধ নাক

জটিলতা:

- নিউমোনিয়া
- কিডনি ব্যর্থতা
- পচন
উপরের উপসর্গ এবং জটিলতাগুলি রোগের তীব্রতা এবং তীব্র জরুরি প্রকৃতি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে আমাদের জানিয়ে দেয়। সুতরাং, আমাদের সেই প্রতিকারটি বেছে নিতে হবে যা রোগের একই রকম প্যাথো ফিজিওলজিকাল অবস্থাটি কভার করে।

হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসাঃ

COVID-19 এর সামগ্রিকতা বিবেচনা করে আমার অভিজ্ঞতা অনুসারে, সবচেয়ে সম্ভাব্য প্রতিকার হ'ল Napthalinum-30. (রেফারেন্ট ক্লার্কের মেটেরিয়া মেডিকা) 


·        তরুণ রোগের সঙ্গে তীব্র উচ্চ জ্বর।
·        শ্বাসকষ্ট: পরিশ্রমী এবং অনিয়মিত।
·        নিরবচ্ছিন্ন শ্বাস প্রশ্বাসের সহিত কাশি।
·        রাতে কাশি ঘুম ব্যহত করে।
·        কাশির সহিত নীল বা বেগুনি রঙের মুখ।
·        শ্লেষ্মা-নির্গমন: পাতলা, ঘন, প্রায় অনুপস্থিত।
·        জ্বর: হঠাৎ জ্বর শুরু হয়।
·        মাথা ব্যথা।
হোমিওপ্যাথির নীতিমালা অনুসারে, এটি ব্যক্তিটির অনাক্রম্যতা বজায় রাখার জন্য কাজ করে, সুতরাং এটি কার্যকর প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কোনও ব্যক্তির অদ্ভুত চরিত্রগুলি বিবেচনা করে পৃথকীকরণের প্রতিকারের অন্তর্ভুক্ত থাকে। প্রতিকার নির্বাচনের সময় কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য যা মিস করা উচিত নয় তা হ'ল:
তাপীয়, তৃষ্ণার্ত, রূপসমূহ, ঘুম, খাদ্য আগ্রাসী, আকাঙ্ক্ষা, অস্থিরতা।

হোমিওপ্যাথিক আরো কিছু ঔষধ যা বিবেচনা করা যেতে পারে তা হ'ল:
অ্যাকোনাইট, অ্যান্টিম.আর্ট, আর্সেনিক, বেলাডোনা, ব্রায়োনিয়া, ক্যামফোরা, কার্বো ভেজ, কক্কাস ক্যাকটি, চেলিডোনিয়াম, ডালকামারা, ড্রসেরা, জেলসেমিয়াম, কালী কার্ব, পালস, পাইরোজেন, রাস টক্স, স্পঞ্জিয়া।

সামর্থ্য নির্বাচন:

সামর্থ্য নির্বাচন এই কারণগুলির উপর নির্ভর করে:
- সমস্ত বয়সের জন্য উপযুক্ত
- সমস্ত সংবেদনশীলতায় কাজ করে
- হোমিওপ্যাথিক উত্তেজনা উস্কে দেয় না।
- গুরুতর তীব্র শর্তে কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে।
সুতরাং, আমাদের অভিজ্ঞতা অনুসারে, এই কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করে, 30c শক্তি, যা একটি মাঝারি শক্তি, সমস্ত সম্ভাবনাগুলি নির্দেশ করে। (দ্রষ্টব্য: ঔষধটি কোনও হোমোওপ্যাথিক চিকিৎসকের নির্দেশনা এবং পর্যবেক্ষণে নেওয়া উচিত।)

একসাথে আমরা পারি এবং আমরা করব -

হোমিওপ্যাথি একটি বিজ্ঞান এবং শিল্প, সুতরাং বিভিন্ন হোমিওপ্যাথ দ্বারা প্রতিকার পছন্দগুলি মধ্যে পার্থক্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিশ্বব্যাপী এই সঙ্কটকে জয় করতে আমাদের ভ্রাতৃত্বের হিসাবে একত্রিত হওয়া দরকার। আমাদের অবশ্যই সঠিক প্রমাণ সহ আমাদের চিকিৎসার একটি রেকর্ড রাখতে হবে এবং আমাদের এটি নিয়ে আলোচনা করা উচিত এবং এটি সম্পর্কে অন্যান্য হোমিওপ্যাথের মতামত নেওয়া উচিত যা আমাদের আরও গবেষণার জন্য প্রতিকার এবং চিকিৎসা খুঁজে পেতে সহায়তা করবে। বিশ্বকে জানান, হোমিওপ্যাথি এই জাতীয় সংকটের কার্যকর চিকিৎসা হতে পারে।
Share:

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০

মাস ভিত্তিক গর্ভস্থ ভ্রুণের বর্ধন চিত্র


প্রথম মাসঃ প্রথম কয়েকদিন ভ্রুণ অত্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তিন চারি দিনের পরেই ভ্রুণটির চওড়ায় মাপ দাঁড়ায় ০.০৪ ইঞ্চির মত। ৭-৮ দিনে .০৫ ইঞ্চি হয়। প্রথমেই শিশুর মাথা ও মস্তিষ্ক তৈরী হতে শুরু হয় এবং মাথাটাই সবচেয়ে তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। প্রথম মাসের শেষাশেষি ভ্রুণের শরীরের ভিতরে যন্ত্রগুলি তৈরী হতে শুরু হয়। হৃদপিন্ডটি এই সময় একটি ছোট নলের মতো দেখায় ও ধুকধুকি তখন হইতেই শুনা যায়। ভ্রুণের শিরদাঁড়াও এই সময় বেড়ে ইঠতে শুরু করে এবং নিচের অংশ লেজের মত দেখায়। ভ্রুনের প্রত্যঙ্গও এই সময় শুরু হয়। প্রথম মাসের ভ্রুণ জরায়ুর মধ্যে গোল পারিয়ে থাকে এবং লম্বায় .০২৫ ইঞ্চি বা .৫০ ইঞ্চির মতো হয়।
দ্বিতীয় মাসঃ এই মাসে শিশুর হাত-পা ক্রমে ক্রমে গড়ে ওঠে। এই সঙ্গেই এক জোড়া কনুই ও হাটু এবং পাতলা চামড়া দিয়ে জোড়া হাত পায়ের আঙ্গুল তৈরী হয়। শিরদাঁড়ার লেজের অংশটাও পুরোপুরি তৈরি হয় এবং বেশ বড় দেখায়। ফুসফুস, হৃদপিন্ড, পাকস্থলী, যকৃৎ, ক্ষুদ্র ও বৃহৎ অন্ত্রগুলি দেহের মধ্যে যথাস্থানে ক্রমশঃ সরে যেতে থাকে। মুখমন্ডলের বিভিন্ন অংশ যথা, চোখের পাতা, চোখের কোটর, নাক ইত্যাদিও এ সময়ে স্পষ্ট হয়ে উঠে। যদিও উপরিউক্ত যন্ত্রগুলি বাড়িতে থাকে, তথাপি উহারা অত্যন্ত ক্ষুদ্র এবং গর্ভস্থ শিশু লম্বায় মাত্র এক ইঞ্চির মত থাকে এবং ওজন মাত্র এক আউন্সের দশভাগের একভাগের চেয়েও কম থাকে। এই মাসের শেষভাগে গর্ভফুল বিকশিত হয়ে পরিণত আকার ধারণ করে এবং গর্ভস্থ ভ্রুণ জলের মধ্যে ডুবে থাকে।



তৃতীয় মাসঃ এ মাসের শিশুর লেজ আকারে কমতে শুরু করে এবং মাসের শেষে উহা সম্পূর্ণ লোপ পায়। হাতের ও পায়ের আঙ্গুলের মধ্যেকার চামড়ার জোড়গুলি খসে পড়ে। হাত-পায়ের আঙ্গুলের নখ দেখা দেয় এবং মুখের মাড়িতে ছোট ছোট মাংসের কুড়ি দেখা দেয়। এ মাসের শিশুর ওজন এক আউন্সের কিছু কম থাকে। এই মাসের শেষে শিশুর যৌন অঙ্গগুলি প্রথম স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শিশু যদি মেয়ে হয়ে থাকে তবে এই মাসের শেষে তার একটি ক্ষুদ্র জরায়ুও তৈরী হতে শুরু হয়।
চতুর্থ মাসঃ এই মাসে সন্তান দ্রুত বাড়তে থাকে। এই মাসের শেষে শিশু চার থেকে ছয় ইঞ্চির মত লম্বা হয় এবং তার ওজন বেড়ে প্রায় চার আউন্সের মতো হয়। এই সময় ভ্রুণটি একটি পূর্ণাঙ্গ শিশুর মতই দেখতে লাগে। এই মাসে শিশুর মাথায় চুল ও গায়ে লোমের আভাস দেখা যায়। চার মাসের শেষে মাংসপেশীগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং শিশুটি একটু একটু নড়াচড়া করতে আরম্ভ করে।
পঞ্চম মাসঃ এ মাসে মাংসপেশীগুলি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং প্রসূতি বেশ অনুভব করে যে, শিশু বেশ নড়াচড়া করিতেছে। এই মাসেই স্টেথোস্কোপের সাহায্যে শিশুর হৃদস্পন্দন প্রথম ধরতে পারা যায়।
ষষ্ঠ মাসঃ এই মাস হইতেই শিশুর আকার ও ওজন দ্রুত বেড়ে উঠে। প্রসূতির পেটের (জরায়ুর) আয়তন যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়। এই মাসের শেষভাগে শিশু লম্বায় দশ ইঞ্চির মতো হয় ও ওজন প্রায় দেড় পাউন্ড হয়। এই মাসে শিশু খুব বেশী নড়াচড়া করতে থাকে, মনে হয় গুতো মারছে। এই প্রকার নড়াচড়া শেষ মাস অবধি চলতে থাকে। এই নড়াচড়া সর্বক্ষণ নাও হতে পারে, কখনও কখনও প্রসূতি নড়াচড়া একেবারেই অনুভব না করতে পারে।
সপ্তম মাসঃ এ মাসে শিশু নানাভাবে নড়াচড়া করে ও অবস্থানেরও কোন ঠিক থাকে না, তবে সাধারনতঃ মাথা নিচের দিকে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে আড়াআড়িভাবে বা পা ও পাছা নিচের দিকে থাকে। শিশুর শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলি এই মাসে পুরোপুরি বিকশিত হয়। এই মাসের শেষভাগে যদি কোন কারণে সন্তান প্রসব করে উপযুক্ত যত্ন ও তত্ত্বাবধান করিলে শিশু বেচে যায়।
অষ্টম মাসঃ এই মাসে শিশু দেহে একটু একটু করে মদে বা চর্বি জমতে শুরু করে। শিশুর ওজন চার পাউন্ডের মতে হয়। এই মাসে ভূমিষ্ঠ হলে সন্তানের বেচেঁ থাকার সম্ভাবনাই বেশী।
নবম মাসঃ এই মাসে শিশুর মাথায় সুন্দর চুল দেখা যায় এবং শরীরে যে চুল পূর্বে দেখা গিয়াছিল তা বেশীর ভাগই খসে যায়। শিশু এই মাসে আরও দ্রুত বড় হয়। এই মাসে শিশুর ওজন পাঁচ হইতে ছয় পাউন্ড হয় এবং লম্বায় ১৬-১৮ ইঞ্চি হয়। অবশ্য দেশ বা ব্যক্তিবিশেষে এর তারতম্য হতে পারে।

Share:

মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২০

চিকিৎসকের উদ্দেশ্য (অর্গানন অব মেডিসিন সূত্র নং-০১)


চিকিৎসকের একমাত্র উদ্দেশ্য রুগ্ন ব্যক্তিকে পুনঃ স্বাস্থ্যে প্রতিষ্ঠিত করা।


প্রত্যেক মানুষের জীবনে যেমন একটা উদ্দেশ্য থাকে তেমনিই একজন চিকিৎসকেরও রোগী চিকিৎসার ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য থাকা প্রয়োজন। আর তা হলো রুগ্ন ব্যক্তিকে পুনঃস্বাস্থ্যে প্রতিষ্ঠিত করা। রুগ্নতাকে সুস্থতায় পর্যবসিত করা, রূপান্তরিত করা একমাত্র কর্ম ও লক্ষ্য। আর এই ব্রত পালন করিতে গেলে চিকিৎসকদের সর্বতোভাবে উপযুক্ততা অর্জন করিতে হবে। সেজন্য হ্যানিম্যান উপদেশ দিয়েছেন যে ‘রোগীকে নীরোগ’ করাই একজন চিকিৎসকের জীবনের প্রধান লক্ষ্য। আরোগ্য কথাটির অর্থ রোগীর শুধু মাত্র দু-একটি কষ্টকর রোগলক্ষণ দূরীভূত করাকেই বুঝায় না, রোগীকে সম্পূর্ণভাবে নীরোগ করিয়া রোগীর স্বাস্থ্য পুনঃরুদ্ধার করাকে বুঝায়। যে পর্যন্ত রোগী তাহার পূর্ব স্বাস্থ্য পুনঃরুদ্ধার  করিতে সমর্থ হইবে না ততক্ষন পর্যন্ত রোগী নীরোগ হইল না বুঝিতে হইবে। তীব্রতর লক্ষণ কমিয়া গেলে যদি মনে করা হয় রোগীর রোগ ভাল হইয়া গেল কিন্তু তাহা সঠিক নয়। রোগীটি সর্বাঙ্গীনভাবে সুস্থ হইল কিনা তাহা ভাবিয়া দেখিতে হইবে। উদাহরনস্বরূপ, কোন রোগীর জ্বর হইল, তাহার পর কোন ঔষধ প্রয়োগ করিয়া জ্বর ভাল হইয়া গেল। কিন্তু মুখের স্বাদ নষ্ট হইয়া গেল, কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় না বা তরল বাহ্যে হয়, মাথা ঘোরে, অনিদ্রা সহ অন্যান্য আরো লক্ষন রহিয়া গেল। এইরূপ স্থলে রোগীর জ্বর ভাল হইল কিন্তু রোগী নীরোগ হয় নাই। গাত্রতাপ কমিলেই জ্বর ভাল হইল আপতদৃষ্টিতে বলা চলে কিন্তু রোগী আরোগ্য হইয়াছে তাহা বলা চলে না। এমতাবস্থায় রোগীর সমস্ত রোগ লক্ষণ সংগ্রহ করিয়া রোগীকে ঔষধ প্রয়োগ করিতে  হইবে যাহাতে শুধু গাত্রতাপ নহে রোগীতে প্রদত্ত সকল রোগ লক্ষণ দূরীভূত হয় এবং রোগী পুনঃস্বাস্থ্য ফিরে পায়। সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি রোগী সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করিল।



পূর্ণ আরোগ্য করিতে হলে রোগীকে কোন রোগের নামের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা যাবে না। রোগী চিকিৎসা করিতে হবে রোগীর লক্ষণের উপর ভিত্তি করে। হোমিওপ্যাথিতে কোন রোগের চিকিৎসা করা হয় না রোগীর চিকিৎসা করা হয়। একজন চিকিৎসকের মূল লক্ষ্য রোগীকে পুনঃস্বাস্থ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে চিকিৎসকের উচিত রোগীকে রোগের উপর ভিত্তি করে নয় রোগীতে প্রদত্ত সমস্ত রোগ লক্ষণের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা। রোগী চিকিৎসাকালে কোন একটি অংগ বা কোন একটি লক্ষণের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা যাবে না। রোগীকে চিকিৎসা করার সময় রোগী হতে সমস্ত রোগ লক্ষণ ও সমস্ত অংগের লক্ষণ সংগ্রহ করতে হবে। প্রাপ্ত সমস্ত লক্ষণের উপর ভিত্তি করে রোগীতে ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। কোন একটি অংগ বা একটি লক্ষণের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হলে হয়তো বা উক্ত লক্ষণ দূরীভূত হবে কিন্তু রোগী পূর্ণ আরোগ্য লাভ করবে না। এতে চিকিৎসকের লক্ষ্য অর্জন হবে না।
অতএব, একজন চিকিৎসকের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া ‍উচিত রোগীকে পুনঃস্বাস্থ্যে প্রতিষ্ঠিত করা।

Share:

সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০

একজন রোগী করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কি না বুঝার উপায়


করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে বুঝার উপায়

১. আপনার সর্দি হয়েছে কিন্তু কাশি নাই- করোনা হয় নাই।
২. আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে কিন্তু শুকনো কফ হয় নাই- করোনা হয় নাই।
৩. আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে, শুকনো কফ হয়েছে কিন্তু জ্বর হয় নাই- করোনা হয় নাই।
৪. আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে, শুকনো কফ হয়েছে, জ্বর হয়েছে কিন্তু জ্বর নেমে গেছে- করোনা হয় নাই।
৫. আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে, শুকনো কফ হয়েছে, জ্বর হয়েছে এবং জ্বর নামেনি কিন্তু শ্বাস কষ্ট হয়নি- করোনা হয় নাই।
৬. আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে, শুকনো কফ হয়েছে, জ্বর হয়েছে এবং জ্বর নামেনি, শ্বাস কষ্ট হয়েছে এবং শরীর ব্যথা- করোনা হয়েছে।



আপনার লক্ষণ ক্রমিক নং ১-৫ পর্যন্ত হলে আতঙ্কিত না হয়ে একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয়ে লক্ষণ ভিত্তিক ঔষধ সেবন করুন।
রোগীর লক্ষণ ৬ নং ক্রমিকে পৌঁছালে একজন ডাক্তারের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করুন তবে মনে রাখতে হবে কোন অবস্থাতেই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না।

Share:

রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২০

অদ্য ১০ এপ্রিল হোমিওপ্যাথিক জনক হ্যানিম্যান-এর ২৬৫ তম জন্মবার্ষিকী ও আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথিক দিবস


অদ্য ১০ এপ্রিল হোমিওপ্যাথিক জনক হ্যানিম্যান-এর ২৬৫ তম জন্মবার্ষিকী ও আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথিক দিবস। তাহার পূর্ণ নাম ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডারিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। তিনি ১৭৫৫ সালের ১০ ই এপ্রিল জার্মানির স্যাক্সনীর অন্তর্গত মিসেন নগরে জন্মগ্রহণ করেন। তাহার মাতার নাম জোহানা ক্রিশ্চিয়ানা হ্যানিম্যান এবং পিতার নাম ক্রিশ্চিয়ান গডফ্রায়েড। হ্যানিম্যান –এর গ্রীক, হিব্রু, ল্যাটিন, আরবী সহ মোট ১১টি ভাষায় শিক্ষিত ছিলেন। তিনি মূলত ছিলেন একজন একনিষ্ঠ, জ্ঞানী, প্রগতিশীল ও অত্যন্ত সফল এলোপ্যাথিক চিকিৎসক। তিনি ১৭৭৮ হতে ১৭৭৯ পর্যন্ত ছাত্র অবস্থাতেই ট্রানসিলভ্যানিয়ার গভর্ণরের পারিবারিক চিকিৎসক ছিলেন। ১৭৭৯ সালে এনলার্জেন বিশ্ববিদ্যালয় হতে সর্বোচ্চ ডিগ্রী এম,ডি উপাধি প্রাপ্ত হন। ১৭৮১ সালের শেষের দিকে গোমেরনে জেলা মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হন। চিকিৎসা পেশায় আত্মনিয়োগের সময় হতেই প্রচলিত পদ্ধতির উপর তাঁহার সন্দেহ গাঢ় হইতে থাকে। তাই তিনি সর্বদা বিশ্বস্থ ও টেকসই কোন চিকিৎসা ব্যবস্থার কথা চিন্তা করতেন। এক সময় তিনি ডাঃ কালেন সাহেবের মেটিরিয়া মেডিকা অনুবাদের সময় হঠাৎ দেখিতে পাইলেন যে, যে কুইনাইন জ্বর রোগে বিশেষ উপকারী অথচ সেই কুইনাইন সুস্থ শরীরে  সেবন করলে জ্বর রোগীর কতকগুলি লক্ষন সৃষ্টি করিতে সক্ষম। সুতরাং তিনি লক্ষ্য কারিলেন সুস্থ শরীরে কোন ঔষধ সেবন করিলে যে যে লক্ষন সমূহ প্রকাশ পায় যদি কোন পীড়ায় বা অসুস্থ শরীরে ঐ লক্ষণসমূহ বর্তমান থাকে তবে এই ঔষধ সেবন করিলে উক্ত অসুস্থ শরীরের লক্ষণসমূহ অন্তর্নিহিত হয়ে শরীর রোগ মুক্ত হইবে। এই চিন্তা করিয়া হ্যানিম্যান প্রথমে কুইনাইন নিজ শরীরে পরীক্ষা করিতে লাগিলেন এবং তৎপর নিজ পরিবারের উপর চিকিৎসা করিতে লাগিলেন এবং ইহাতে আশাতিরিক্ত ফল লাভ করিয়া ১৭৯০ সালে তাঁহার এই চিকিৎসা প্রনালী বিশ্ববাসীর কাছে প্রচার করিলেন যাহা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি নামে চিরস্মরণীয় হয়ে রহিয়াছে। পরবর্তীতে তাঁহার জন্ম তারিখকে আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। তিনি ১৮৪৩ সালে ২রা জুলাই প্যারিসে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে হ্যানিম্যানের মৃদুস্বরে বলিয়াছেন ‘‘আমি বৃথা জীবন ধারন করি নাই’’।

Share:

ঋতুস্রাব কি? ঋতুস্রাবকালীন অস্বাভাবিক লক্ষণ ও ঋতুকালীন নিয়ম-কানুন সমূহ।

ঋতুস্রাবঃ

যৌবন আরম্ভে সুস্থকায় স্ত্রীলোকদের জরায়ু মধ্য হইতে প্রতি ২৮ ‍দিন অন্তর একবার করিয়া শোণিতস্রাব হয় ইহাকেই ঋতুস্রাব বা রজঃস্রাব বলে। এই রজঃস্রাবই স্ত্রীলোকদের যৌবনারম্ভ। আমাদের দেশে ১১ হইতে ১৩ বৎসরের বালিকাদের প্রথম ঋতু হইতে দেখা যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় ঋতুকাল সাধারণতঃ ২ দিন হতে ৭ দিন পর্যন্ত থাকিতে দেখা যায়। প্রত্যেকবার ৩ হতে ৮ আউন্স পর্যন্ত স্রাব নির্গত হয়। এই স্রাব ঈষৎ কালচে ও পাতলা। ৪৫ বৎসরের কিছু পূর্বে বা পরে ঋতুস্রাব বন্ধ  হইতে দেখা যায়। ঋতুস্রাব একেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়াকে মেনোপজ বলে।

ঋতুস্রাবকালীন অস্বাভাবিক লক্ষণঃ

১) কোমরে ও তলপেটে বেশী যন্ত্রনা।
২) রজরোধ বা অত্যল্প রক্তস্রাব।
৩) অত্যধিক স্রাব।
৪) অধিকদিন পর্যন্ত রক্তস্রাব চলিতে থাকা।
৫) দুর্গন্ধযুক্ত বা বিবর্ণ স্রাব।
৬) জ্বর।

ঋতুকালীন নিয়ম-কানুনঃ

প্রত্যেক স্ত্রীলোকদের ঋতুকালীন কতকগুলি নিয়ম পালন করা উচিত। যেমনঃ
১) কোনপ্রকার কঠিন পরিশ্রমের কাজ না করা। জলপূর্ণ কলসী, বালতি, ভারি বক্স, বিছানা ইত্যাদি না তোলা।
২) ঠান্ডা জলে পা না ভিজানো। ঠান্ডা মেঝেতে না বসা বা পেটে ঠান্ডা না লাগানো। কোন কারনে ঠান্ডা লাগিলে রক্তস্রাব বন্ধ হইয়া তলপেটে যন্ত্রণা বা জরায়ু প্রদাহ হইতে পারে। বরং এই সময় গরম কাপড়ে পেট জড়াইয়া রাখা ভাল।
৩) স্বামীসহবাস না করা।
৪) গাড়ী না চড়া। উহাতে জরায়ুতে আঘাত লাগিয়া জরায়ুর স্থানচ্যুতি হইতে পারে।
৫) ময়লা কাপড় কখনও ব্যবহার না করা। পরিষ্কার ধোয়া ন্যাকড়া বা ন্যাপকিন ব্যবহার করা।

Share:

কাশি এবং সর্দি-তে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

কাশি এবং সর্দি-তে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

আমরা সকলেই কোন না কোন সময়ে কাশি এবং সর্দিতে ভুগি। কখনও কখনও লক্ষণগুলি হালকা হয় এবং কখনও কখনও তা বেশ কয়েক দিন ধরে থাকে।
নীচে কাশি এবং সর্দি-কাশির জন্য ব্যবহৃত ঔষধের একটি তালিকা রয়েছে। ঔষধ বাছাই করার জন্য, মনে রাখবেন যে অসুস্থ ব্যক্তির একটি নির্দিষ্ট ঔষধের জন্য সমস্ত লক্ষণ তালিকাভুক্ত করার প্রয়োজন নেই, তবে ব্যক্তির বেশিরভাগ লক্ষণ (বিশিষ্ট লক্ষণগুলি সহ) তালিকাভুক্ত করা উচিত।

অ্যাকোনাইট: হঠাৎ শুরু হওয়া, প্রায়শই শীত আবহাওয়া বা শুষ্ক, ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শের পরে; প্রথম ২৪ ঘন্টা মধ্যে অসুস্থতার খুব শুরু; ভয়, উচ্চ জ্বর, অস্থিরতা, আলো প্রতি সংবেদনশীলতা, তৃষ্ণা; জলযুক্ত নাক, হাঁচি, মাথাব্যথা; ক্রুপের প্রাথমিক পর্যায়ে।
অ্যালিয়াম সিপা: পরিষ্কার, জ্বলন্ত অনুনাসিক স্রাব যা ত্বক এবং উপরের ঠোঁটকে পোড়া করে; চোখ লাল এবং জ্বলন্ত; স্বাচ্ছন্দ্যযুক্ত বেদনা, বেদনাদায়ক শুকনো কাশি; তৃষ্ণা।
আর্সেনিক এলবাম: জলযুক্ত অনুনাসিক স্রাব যা ত্বক জ্বালায়, নাক বন্ধ হয়ে যায় বলে মনে হয়; জ্বালা এবং নাকের মধ্যে টিকটিকানি, ঘন ঘন এবং হিংস্র হাঁচি; অনুনাসিক স্রাব ঘন এবং হলুদ হতে পারে; সামনের মাথাব্যথা নিস্তেজ শিহরণ; গলিতে টিকল থেকে বা বুকে গভীর থেকে কাশি আলগা বা শুকনো হতে পারে; জ্বলন্ত বুকে ব্যথা; মরিচ, উদ্বিগ্ন, অস্থির এবং ভয়ঙ্কর।
বেলাডোনা: হঠাৎ শুরু; উচ্চ জ্বর, শুকনো উষ্ণ মুখ, মানসিকভাবে নিস্তেজ তবে হালকা, গন্ধ, গোলমাল ইত্যাদির প্রতি অস্বাভাবিক সংবেদনশীল; উদ্বিগ্ন; গলা কাঁচা এবং ঘা; মাথা ব্যথা এবং / বা কাঁপতে কাঁপতে ব্যথা সহ; বেদনাদায়ক ছাঁকা এবং ছোট কাশি, একটি সামান্য পাতলা শ্লেষ্মা উৎপাদন করে।
ব্রায়োনিয়া: যখন ঠান্ডা বুকে চলে গেছে; শুষ্ক, বেদনাদায়ক, স্পাসোমডিক কাশি, গভীর শ্বাসকষ্টের সাথে আরও খারাপ, খাওয়া-দাওয়া, গরম ঘরে এবং দিনের বেলা; খোলা বাতাস থেকে উত্তপ্ত বা গরম জল গিলে; যে কোনও আন্দোলনের সাথে ব্যথা আরও খারাপ হয়, সুতরাং ব্যক্তি চলাচল প্রতিরোধের জন্য বেদনাদায়ক জায়গা ধরে রাখতে পারে, বেদনাদায়ক পক্ষের উপর শুয়ে থাকতে পারে, বেদনাদায়ক জায়গায় চাপ দিতে পারে, অগভীর সাথে পুরোপুরি শুয়ে থাকতে পারে, তৃষ্ণার্ত, খিটখিটে, একা থাকতে হবে; অসুস্থ, ক্লান্ত এবং ভারী অনুভূতি।
ক্যামোমিলা: প্রায়শই কানের ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয়; খুব বিরক্তিকর এবং সংবেদনশীল, শিশু বহন করতে চায়; তীব্র ব্যথা; একটি গাল লাল এবং গরম, অন্য ঠান্ডা এবং ফ্যাকাশে; তৃষ্ণার্ত.
ইউপেটেরিয়াম পারফেরিয়্যাটাম: পিঠ এবং অঙ্গগুলির গভীর ব্যথা, মাথা ব্যথা ফেটে, চোখের পাতাতে ব্যথা; ব্যথার কারণে স্থানান্তর করতে ভয়; খুব তৃষ্ণার্ত, তারপর ঠান্ডা লাগা এবং জ্বর; বমি তৃষ্ণার অনুসরণ করতে পারে; মহান দুর্বলতা।
ইউফ্রেসিয়া: নাক থেকে কোমল জল স্রাব এবং প্রচুর জ্বলন্ত অশ্রু (অ্যালিয়াম সিপার বিপরীতে); সকালে, খোলা বাতাসে এবং শুয়ে থাকা অনুনাসিক স্রাব আরও খারাপ হয়; আলগা কাঁচা কাশি, দিনের বেলা আরও খারাপ; প্রচুর পরিমাণে শ্লেষ্মা সৃষ্টি হয়।
ফেরাম ফসফরিকাম: সমস্ত প্রদাহজনিত সমস্যার শুরুর পর্যায়ে; ধীরে ধীরে শুরু; লাল গাল দিয়ে ফ্যাকাশে; লাল জ্বলন্ত চোখ; ঘোলাটে, অস্থির নিদ্রাহীন, দুর্বল, ক্লান্ত, তৃষ্ণার্ত, উদাসীন; ঠান্ডা অ্যাপ্লিকেশন থেকে ভাল।
জেলসিমিয়াম: ধীরে ধীরে শুরু; সারা শরীর জুড়ে ভারীত্বের সংবেদন; দুর্দান্ত ক্লান্তি, তবে অস্থিরতা বোধ করে; মেরুদণ্ড উপরে এবং নীচে ঠাণ্ডা, খারাপ সামান্য খসড়া; মাথা ব্যাথা; জলযুক্ত অনুনাসিক নিষ্কাশন বিরক্ত হওয়া সত্ত্বেও নাকের মধ্যে হাঁচি এবং শুকনো সংবেদন; চালিত না হলে অবিরত গতি এবং মুক্ত বায়ু দিয়ে আরও ভাল; স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, প্রত্যাশা থেকে খারাপ।
হিপার সালফার: প্রথম পর্যায়ে খুব কমই ব্যবহৃত হয়; ঠান্ডা জলযুক্ত, স্রষ্ট নাক দিয়ে শুরু হয়ে থাকতে পারে তবে এখন অনুনাসিক স্রাব ঘন, হলুদ এবং দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে; শীতের সামান্যতম অনুভূতিতে হাঁচি; কাঁপানো শ্বাসের সাথে গলা কাশি সম্ভবত ছড়িয়ে পড়ছে, ঘন হলুদ কফ কাশি হতে পারে; ঠান্ডা বাতাস, ঠাণ্ডা খাবার, বাতাসের সংস্পর্শ, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস এবং উদাসীনতা থেকে কাশি আরও খারাপ; গলায় স্প্লিন্টারের সংবেদন; কণ্ঠনালী গলা থেকে কানের কাছে গিলতে কাঁপতে ব্যথার সংবেদন দিয়ে শুরু হতে পারে; খিটখিটে, টক গন্ধ সঙ্গে ঘাম, খসড়া অত্যন্ত সংবেদনশীল; সামান্য স্পর্শ থেকে খারাপ।
কেলি বাইক্রম: শীতের পরবর্তী পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়; ঘন, হলুদ বা সবুজ বর্ণের এবং স্রোতযুক্ত, নাক থেকে মুছে ফেলা কঠিন; পুরু পোস্ট অনুনাসিক ড্রিপ; নাকের গোড়ায় চাপ সহ সাইনাস মাথাব্যথা; মাথা বা মুখের ব্যথা যা একটি আঙুল দিয়ে নির্দেশ করা যেতে পারে; কর্কশ কন্ঠ; তাপ এবং শুয়ে থেকে ভাল।
কেলি মিউরিয়াটিকাম: কানের ইউস্টাচিয়ান টিউব সাফ করার জন্য; কানে কানে শব্দ ছটফট করছে, শ্রবণশক্তি নিম্নরূপ; গতি, সমৃদ্ধ খাবার এবং চর্বি থেকে খারাপ।
মার্ক সল: শীতলতা দিয়ে শুরু হয়; হিংস্র হাঁচি; ঘন সবুজ বা গভীর জলযুক্ত অনুনাসিক স্রাব, নাক এবং উপরের ঠোঁটের ঘা তৈরি করে; কাঁচা গলা, গিলে ফেলা কঠিন; প্রলিপ্ত জিহ্বা, ভারী লালা, মুখের দুর্গন্ধ; কানের ব্যথা টিকটিকি, রাতে আরও খারাপ; খুব তৃষ্ণার্ত, দুর্বল এবং কাঁপানো; পুরো ব্যক্তি অসুস্থ গন্ধ; রাতে খারাপ, ভিজা এবং স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, ঘাম, একটি উষ্ণ ঘর বা একটি গরম বিছানা সহ ডান পাশে শুয়ে আছে।
নেট্রাম মিউরিয়াটিকাম: ঠান্ডা শুরু হয় অনেক হাঁচি দিয়ে; কাঁচা ডিমের সাদা বা সিদ্ধ মাড়ির মতো অনুনাসিক স্রাব, প্রচুর প্রবাহ সহ, বা নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে; গন্ধ এবং স্বাদ ক্ষতি; ঠোঁটের চেষ্টা এবং ফাটল, মুখের কোণায় ত্বক বিভক্ত হয়ে যায়, মুখের চারপাশে শীতের ঘা হতে পারে; সহানুভূতি বা আরাম থেকে নীল মেজাজ, কান্নাকাটি, আরও খারাপ, বিরক্ত; তাপ থেকে খারাপ, শুয়ে থাকা, শব্দ; খোলা বাতাস, ঠান্ডা স্নান, নিয়মিত খাবার ব্যতীত ভাল।
নাক্স ভোমিকা: শীত বা ঠান্ডা শুষ্ক আবহাওয়ার সংস্পর্শের পরে অসুস্থতা; হঠাৎ শুরু ; শুকনো এবং নাক মধ্যে সংবেদন সংবেদনগুলি; প্রথমে নাক ভরা এবং শুকনো, তারপরে হাঁচি দিয়ে জলযুক্ত এবং প্রায়শ বিরক্তিকর স্রাব বিকাশ ঘটে; নাক বন্ধ এবং স্রোতের মধ্যে বিকল্প হতে পারে; "রাতের বেলা এবং বাইরে বাইরে স্টাফিনিয়াসির উপস্থিতি থাকে, উষ্ণ ঘরে এবং দিনের বেলা অনাহার হয়", গলা কাঁচা এবং রুক্ষ, ল্যারিক্সে সুড়সুড়ি; শুকনো কাশি জ্বালাপোড়া বুকে ব্যথা হয়; সকাল সকাল কাশি খারাপ, সকাল ১২ টা থেকে সের, খাওয়ার পরে, বা মানসিক কাজ এবং ঠান্ডা বাতাসে; কাশি শেষ হতে পারে; গরম পানীয় উপশম; প্রতিটি সামান্য গতি শীতল কারণ; খিটখিটে এবং সহজেই ক্ষুব্ধ, শব্দ এবং গন্ধের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল; উষ্ণতার সাথে, সন্ধ্যায়, শুয়ে থাকা এবং একটি নিরবচ্ছিন্ন ঝোলা দিয়ে আরও ভাল।
ফসফরাস: ল্যারঞ্জাইটিস এবং হোরসনেস, কথা বলার সময় গলাতে হিংস্র সুড়সুড়ি, সকালে বা সন্ধ্যায় আরও খারাপ; কাশি শুকনো বা আলগা, ভঙ্গুর বা গভীর, কথা বলা, খাওয়া, হাসতে বা ঠাণ্ডা বাতাস শ্বাস নেওয়ার সময় বৃদ্ধি পায়; কাশি খারাপ শোয়া, বিশেষত বাম দিকে; তরল, বিশেষত কোল্ড ড্রিঙ্কস দ্বারা ক্রমবর্ধমান কাশি; যে কোনও রঙ বা ধারাবাহিকতার ক্লেম রক্তে প্রসারিত হতে পারে; বুকে ব্যথা, গতি থেকে খারাপ, চাপ থেকে ভাল; দৃঢ়তা বা সংকোচনের সংবেদন বা বুকে ওজন নিয়ে সংবেদন; মরিচ এবং বরফ কোল্ড ড্রিঙ্কস; একা বা অন্ধকারে যখন নার্ভাস।
পালস্যাটিলা: একটি "পাকা" ঠান্ডা জন্য; পুরু, ক্রিমিযুক্ত, মিশ্রণটি হলুদ থেকে হলুদ-সবুজ অনুনাসিক স্রাব, সাবলীল স্রাবের সাথে স্টাফরিটি পর্যায়ক্রমে; নাক খোলা বাতাস এবং সন্ধ্যায় চলতে পারে এবং একটি উষ্ণ ঘরে স্টাফ করতে পারে; ঠোঁট চ্যাপ্টা এবং খোসা; তৃষ্ণার অভাব নিয়ে শুকনো মুখ; শুকনো এবং আলগা কাশি উভয়ই সন্ধ্যায় শুকনো হতে পারে, সকালে আলগা হয়; বুকে ওজন সংবেদন; কাশি বা বমি মধ্যে শেষ হতে পারে; শ্রম, একটি উষ্ণ ঘর, শুয়ে যখন কাশি খারাপ; খোলা বাতাসের সাথে আরও ভাল; তীব্র কাঁপুনি দিয়ে ব্যথা সহ, কানের কণা দিয়ে লাল, ফোলা বাহ্যিক কান, রাতে আরও খারাপ; মনে হচ্ছে কান বন্ধ হয়ে গেছে; কাঁদে, সহানুভূতি এবং মনোযোগ চায়, আরও ভাল বোধ করার জন্য কিছু করার জন্য এটি অকেজো মনে করে; উন্মুক্ত বাতাস কামনা করে।
স্পঞ্জিয়া: জোরে, শুকনো, কাঁপানো কাশি এবং শ্বাস প্রশ্বাসের ছাপ; শ্বাসকষ্টের শব্দগুলি বোর্ডের মাধ্যমে চালিত করণের মতো শোনাচ্ছে; উত্তেজনা, কথা বলা, অ্যালকোহল, শুয়ে থাকা এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস থেকে কাশি আরও খারাপ; ঘোলাটে, নিশ্বাস নেওয়া কঠিন, যেন গলায় একটি প্লাগ রয়েছে; গলার সংকীর্ণতা থেকে শ্বাসরোধের সংবেদন নিয়ে জেগে ওঠে; উদ্বিগ্ন, উষ্ণ, সামান্য পরিশ্রমের পরে ক্লান্ত; খাওয়া বা পান করা, বিশেষত উষ্ণ পানীয় থেকে ভাল।


বিঃদ্রঃ নিজ উদ্দোগে কোন ঔষধ সেবন করবেন না, নিকটস্থ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি ঔষধ সেবন করুন

Share:

কোষ্ঠকাঠিন্য কি, এর কারন, প্রতিকার ও চিকিৎসা

কোষ্ঠকাঠিন্য

কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ও বিরক্তিকর একটা সমস্যা। সাধারণত সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানা অথবা মলত্যাগের বেগ হলে এবং শুষ্ক ও কঠিন পায়খানা হলে সেটাই কোষ্ঠকাঠিন্য। এ অবস্থায় পায়খানায় দীর্ঘসময় ধরে বসে থেকেও পায়খানা হয় না অথবা হলেও সম্পূর্ণ হয়নি এমন মনে হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের চিকিৎসার চেয়ে যা করলে বা যেভাবে চললে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না সেভাবে চলাই শ্রেয়। এমন কোনো ব্যক্তি নেই, যার জীবনে কখনোই কোষ্ঠকাঠিন্য হয়নি। কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে লজ্জা না পেয়ে বরং দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কেউ যদি পর্যাপ্ত আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার পরেও, সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানা করেন, তখন এটাকে জটিল সমস্যা বিবেচনা করে এর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে হবে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ

কোষ্ঠকাঠিন্যের কিছু নির্দিষ্ট লক্ষন আছে। যেমন-
  • পায়খানা শক্ত হওয়া।
  • পায়খানা করতে প্রয়োজনের চেয়ে অধিক সময় লাগা।
  • পায়খানার সাথে রক্ত আসা।
  • পায়খানা করার জন্য অতিরিক্ত চাপের দরকার হওয়া।
  • আঙুল কিংবা অন্য কোনো ভাবে পায়খানা বের করা ইত্যাদি।
  • অনেক সময় নিয়ে পায়খানা করার পরও মনে হবে পায়খানা সম্পূর্ণ হয়নি।
  • মলদ্বারের আশপাশে কিংবা তলপেটে ব্যথা অনুভব করা।

কোষ্ঠকাঠিন্য-এর কারণ

কোষ্ঠকাঠিন্য এমন এক অবস্থা যখন একজন ব্যক্তি সহজে মলত্যাগ করতে সক্ষম হন না। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মলের সাথে রক্তপাত, পাই‌লস, আলসার, পেটে ব্যথা, এনালফিসার এবং ফিসটুলার মতো জটিল রোগও হতে পারে।আবার স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। নিম্নে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কিছু কারন বর্ণনা করা হলঃ
  • শাকসবজি ও ফলমূল এবং আঁশজাতীয় খাবার কম খেলে।
  • ব্যথানাশক ওষুধ সেবনের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। ভিটামিন জাতীয় ওষুধ যেমন- ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি ওষুধ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে, প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
  • কায়িক পরিশ্রমের অভাব, হাঁটা-চলা কিংবা ব্যায়াম একেবারেই না করলে এই সমস্যা হতে পারে।
  • নিয়মিত মলের বেগ চেপে রাখলে এবং বিষয়টি যদি অভ্যাসে পরিণত হয় তবে এ থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
  • থাইরয়েডগ্রন্থির কারণে অনেক ক্ষেত্রে শরীরের বিপাকক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফলে বুকজ্বালা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
  • দুগ্ধজাতীয় খাবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডায়রিয়া কিংবা মলত্যাগের সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • অবসাদ কিংবা বিষণ্ণতা কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি অন্যতম কারণ। মানসিক সমস্যার কারণে অনেক সময় খাদ্য পরিপাকে সমস্যা হয়। যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
  • প্রয়োজনের চেয়ে কম পরিমানে পান করলে এই সমস্যা হতে পারে।
  • অনেক সময় গর্ভধারণের ফলে এই সমস্যা হতে পারে। কয়েকদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সাথে গর্ভধারণের লক্ষণ প্রকাশ পেলে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • কিছু রোগের কারনে, যেমন- অন্ত্রনালীতে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কে টিউমার কিংবা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি আবার দীর্ঘদিন অসুস্থতার কারণে বিছানায় শুয়ে থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়

  • প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গরম পানি পান করতে পারেন।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে প্রতিদিন বেশি করে শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে।
  • তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া ও মাংস খাওয়া কমাতে হবে।
  • প্রতিদিন সকালে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া যেতে পারে।
  • অধিক দুশ্চিন্তা কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি কারন। তাই দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
  • অনেকে মনে করেন রুটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে কিন্তু আটা, বিশেষ করে লাল আটায় অধিক পরিমাণে আঁশ থাকে। তাই লাল আটায় কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই তবে পরোটার ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তাই অধিক পরিমানে পরোটা না খাওয়াই ভাল।
  • প্রতিদিন সময় করে কায়িক পরিশ্রম অথবা ব্যয়াম করতে হবে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক হতে পারে।

 জটিলতা

দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে অনেক ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন-
*মল ধরে রাখার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া
* অর্শ বা পাইলস, ফিস্টুলা বা ভগন্দর, এনাল ফিশার বা গেজ রোগ হওয়া
* রেকটাল প্রোলাপস তথা মলদ্বার বাইরে বের হয়ে আসা
* প্রস্রাবের সমস্যা
* ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন বা অন্ত্রে ব্লক বা প্যাঁচ লেগে পেট ফুলে যাওয়া।

কোষ্ঠকাঠিন্য-এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

অ্যালুমিনা: নরম, স্টিকি মল ত্যাগের অসুবিধা।
ব্রায়োনিয়া: বড়, শক্ত, শুকনো মল ত্যাগে দারুণ অসুবিধা; মল অন্ধকারের মতো যেন পোড়া; ব্যক্তি বিরক্তিকর এবং অসুস্থ স্বভাবের।
গ্রাফাইটিস: মলত্যাগ করার তাগিদ নেই; অন্ত্রের গতিবিধি ছাড়াই কয়েক দিন যেতে পারে; গোলাকৃতির বলের মতো মলগুলি শ্লেষ্মা দিয়ে একসাথে আটকে যায়, বেদনাদায়ক হয়; রেকটাল ফিশার বা ফাটল, হেমোরয়েডস যা জ্বলায় এবং চুলকায়; মল পেরিয়ে যাওয়ার পরে মলদ্বার ব্যথা হয় এবং মুছা থেকে ব্যথা হয়;
ন্যাট্রাম মিউরিটিকাম: শক্ত, টুকরো টুকরো স্টুল যা মলদ্বার রক্তপাত এবং ব্যথা সৃষ্টি করে; মলদ্বার সংকোচন, রক্তপাত, এবং ব্যথা।
নাক্স ভোমিকা: "ল্যাক্সেটিভ অভ্যাস" ভাঙতে সহায়তা করার জন্য যেখানে লোকটি জোলানো না নিয়ে তাদের অন্ত্র সরাতে অক্ষম হয়; এক ডোজ কয়েক দিন শোবার আগে ব্যবহার করা হয়।
সিলিকা: "বশফুল স্টুল" যা শুরু হয় এবং আবার ফিরে যায়; মলদ্বারের চারপাশে ব্যথা এবং প্রায়শই শ্লেষ্মা জমে থাকে।
সালফার: মলদ্বার বিচ্ছিন্নতা থেকে বেদনাদায়ক মল; মলদ্বারে জ্বলন সহ অকার্যকর আবেদন থাকে; ডায়রিয়ার সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য পর্যায়ক্রমিক হতে পারে; মল কঠিন, অন্ধকার এবং শুকনো; হেমোরয়েডসের প্রবণতা।


বিঃদ্রঃ নিজ উদ্দোগে কোন ঔষধ সেবন করবেন না, নিকটস্থ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি ঔষধ সেবন করুন


Share:

পিঠব্যথা কি এর কারন ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

পিঠব্যথা

পিঠব্যথা সমস্যা যে কারো জন্যই খুব যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা। পিঠব্যথা সম্বন্ধে জানতে হলে প্রথমে মেরুদণ্ড সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। মেরুদণ্ড একটি মাত্র হাড় নয়, ৩৩টি হাড়ের সমন্বয়ে এটা তৈরি। প্রতিটি হাড় কার্টিলেজের কুশন দিয়ে পৃথক রয়েছে। এই কুশনকে বলে ডিস্ক। এর কারণে মেরুদণ্ড সামনে-পেছনে বাঁকানো সম্ভব। মেরুদণ্ড নিখুঁতভাবে সোজাসুজি বা সিধা নয়। পিঠব্যথা প্রতিরোধের প্রধান শর্ত হলো যেকোনো কাজ করার সময় দেরুদণ্ডের এই আকৃতি অক্ষুণ্ন রাখা। পেটের ও পিঠের মাংসপেশিগুলো মেরুদণ্ডকে সাপোর্ট দেয় এবং নড়াচড়ায় সহায়তা করে।

পিঠব্যথার কারণ

পিঠব্যথার কারণগুলো মেরুদণ্ড ও তার সহায়তাকারী মাংসপেশিগুলো থেকে উৎপন্ন হতে পারে অথবা শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো যাদের স্নায়ু সরবরাহের কিছু শাখা পিঠে বিস্তৃত, সেখান থেকেও পিঠব্যথা হতে পারে। শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণেও পিঠের নিচের অংশে ব্যথা হতে পারে।
এর জন্য যা করতে হবে তা হলো
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। যদি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেয়, তাহলে একটি পা প্ল্যাটফরমের ওপরে কিংবা টুলের ওপরে রেখে দাঁড়াতে হবে। চেয়ারে বসে কাজ করার সময় কিংবা চেয়ারে বসে থাকার সময় যদি চেয়ারটি আপনার পিঠকে ঠিকমতো সাপোর্ট দিতে না পারে, তাহলে চেয়ার ও আপনার পিঠের মধ্যকার ফাঁকা জায়গাটি পূরণে কুশন ব্যবহার করুন।
ঘুমানোর সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করুন। যেমন শক্ত তোশক বা জাজিমের ওপর ঘুমান। মুখ নিচের দিকে রেখে ঘুমাবেন না, চিত হয়ে ঘুমান। যদি পাশ ফিরে ঘুমাতে চান, তাহলে একটা হাঁটু সামান্য বাঁকা করে ঘুমান।
কিছু ব্যায়াম আছে যেগুলি করলে পেট ও পিঠের মাংসপেশি সবল হয়। এই ব্যায়াম গুলো প্রতিদিন করতে হবে।

পিঠব্যথায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

পিঠব্যথায় নিম্নোক্ত ঔষধ সমূহ লক্ষণ অনুযায়ী প্রয়োগ করা যেতে ‍পারেঃ

বেলেডোনা: হিংস্র, তীব্র নিম্ন পিঠে ব্যথার জন্য। ব্যথা তীব্র এবং জ্বলন, শিহরণ হতে পারে। তীব্র পিঠব্যথা হঠাৎ চলে আসে এবং ঠিক দ্রুত ছেড়ে চলে যায়। গতি বা ঝাঁকুনি, স্পর্শ, ঠান্ডা লাগা বা বায়ু খসড়া থেকে খারাপ হতে পারে। মধ্যরাতের পরে বেদনাদায়ক পক্ষের উপর পড়ে থাকা থেকে আরও খারাপ, এবং ভালভাবে থেকে যায়।
ব্রায়োনিয়া: ব্যক্তি চরম এবং এমনকি সহিংস ব্যথা এবং ব্যথা একটি পর্যায়ক্রমিকভাবে চলে। তারা সামান্য গতি থেকে খারাপ এবং বিশ্রাম এবং কঠোর চাপ থেকে অনেক ভাল। প্রকৃতপক্ষে, তারা একই সাথে গতি কমানোর সময়, অঞ্চলটিতে তারা যে পরিমাণ চাপ প্রয়োগ করতে পারে তা সর্বাধিক করার জন্য তারা বেদনাদায়ক পক্ষের সাথে থাকে। তারা উষ্ণতা থেকে খারাপ এবং ঠান্ডা বায়ু এবং ঠান্ডা প্রয়োগ থেকে ভাল। যদিও পিঠে ব্যথা তীব্র, এটি তুলনামূলকভাবে ধীরে ধীরে আসে। ঠান্ডা পানির জন্য ব্যক্তির প্রচণ্ড তৃষ্ণাও থাকতে পারে এবং শান্ত থাকার আকাঙ্ক্ষায় বিরক্ত হতে পারে।
কালী কার্বনিকাম: পিছনে ক্লান্তি অনুভূতি, বা পিছন ভাঙ্গা অনুভব করতে পারে। সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ব্যথাগুলির একটি পর্যায়ক্রমিক প্রকৃতির রয়েছে এবং চাপ থেকে অনেক ভাল, তবুও আরও খারাপভাবে আক্রান্তের পাশে পড়ে আছেন। ব্যক্তিকেও পা দিয়ে হাঁটতে হবে এবং নীচের পিঠে ব্যথাটি উরুর নীচে প্রসারিত হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে, শ্রমের সময় বা মাসিকের সময় পিঠে ব্যথা হতে পারে। কপালে শীতল ঘাম হতে পারে এবং সামান্য পরিশ্রমে খারাপ হয়। ব্যথা ঠান্ডা থেকে আরও খারাপ এবং উষ্ণতা থেকে ভাল; এবং আরও খারাপ সকাল ২ টা থেকে বিকাল ৪ টা বা সকাল ৫ টা পর্যন্ত তারা একা থাকতে ভয় পায় এবং প্রচুর উপস্থিতির কামনা করে; তবে তারা প্রায়শই তাদের উপস্থিতি কামনা করেও তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে।
নেট্রাম মিউরিটিকাম: ব্যক্তিটি অনুভব করে যেন তাদের পিঠের ছোট অংশটি ভেঙে গেছে এবং তারা দৃঢ় পৃষ্ঠ সমর্থনের উপর শুয়ে থাকতে পারে অনুভব করে দুঃখের সাথে, ব্যক্তি অতীতের ঘটনাগুলিতে মনোনিবেশ করে এবং প্রায়শই বিরক্তি বা ঘৃণা প্রকাশ করে এমন কারও প্রতি যার ফলে তারা শোক করে। তারা একা কাঁদে কারণ তারা সংস্থান এবং সান্ত্বনার প্রতি বিরুদ্ধ এবং অদ্ভুতভাবে তারা গুরুতর বিষয়ে হাসতে পারে। এগুলি সূর্যের অসহিষ্ণু এবং প্রায়শই লবণের অভ্যাস করে।
ফসফরাস: ব্যথা প্রায়শই এমন হয় যেন পিঠটি ভেঙে যায় বা জ্বলন্ত ব্যথা হতে পারে। ব্যক্তিটি প্রায়শই শীতল থাকে এবং তাদের স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বিগ্ন থাকে বা অন্যকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়। তারা আরও ভাল হয় যখন কেউ তাদের সাথে সেখানে উপস্থিত থাকে, তাদেরকে সহানুভূতি দেয় এবং তাদের পিঠে ব্যথা ঘষা / ম্যাসেজ করা থেকে ভাল। তাদের বরফ-ঠান্ডা জলের প্রচণ্ড তৃষ্ণা রয়েছে।
পালসেটিলা: ব্যক্তির পিঠে ব্যথা হয় যা প্রথম গতি থেকে খারাপ এবং অবিরত গতি এবং বিশ্রাম থেকে ভাল। তবে কোমর ব্যথা ঠান্ডা প্রয়োগ থেকে অনেক ভাল এবং উষ্ণতর থেকেও খারাপ। ব্যক্তি উষ্ণ রক্তাক্ত এবং গরম চুলকানো ঘরে আরও খারাপ হতে থাকে; তবুও, আজব, তারা শুকনো মুখ দিয়ে তৃষ্ণাহীন। ব্যক্তি সাহসী হতে পারে, তাদের লক্ষণগুলি বলার সময় কাঁদে, একাকী বোধ করতে পারে এবং সান্ত্বনা থেকে ভাল হতে পারে।
রাস টক্স: যে ব্যক্তির পিঠের ব্যথা অত্যধিক চাপের পরে আসে, বিশেষত খুব বেশি ভারী কিছু তোলা থেকে। ব্যথা ব্যথা করছে এবং নীচের অংশটি শক্ত, এটি প্রথম গতি থেকে খারাপ, তবুও ধারাবাহিক গতি থেকে ভাল যেমন শক্ত চাপ থেকে ভাল যেমন শক্ত কিছুতে পড়ে। ব্যক্তি ব্যথা থেকে অস্থির, যা তাদের ক্রমাগত সরাতে বা ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য করে। ঠান্ডা ভেজা বাতাস বা ঝড়ের আগে ব্যথার সংস্পর্শে আসতে পারে এবং ঠান্ডা প্রয়োগ থেকে এটি আরও খারাপ। উষ্ণ প্রয়োগে ব্যথা ভাল (প্রায়শই সম্ভব গরম)।
সিপিয়া: এই ঔষধটি প্রয়োজন হওয়া ব্যক্তির নীচের পিঠে একটি দুর্বল অনুভূতি থাকে এবং শক্ত চাপের সাথে ব্যথা ভাল হয়, শক্ত কিছুতে মিথ্যা বলা থেকে, উষ্ণতা থেকে এবং, বেশিরভাগ বৈশিষ্ট্য অনুসারে, কঠোর পরিশ্রম থেকে। তাদের লক্ষণগুলি প্রায় বিকাল ৩ টা থেকে বিকেল ৫ টা অবধি খারাপ হয়, ব্যক্তিটি তাদের প্রিয়জনের প্রতি উদাসীন হতে পারে এবং টক বা ভিনগারি খাবারের ইচ্ছা করতে পারে। তারা সূর্যকে ভালবাসে। তারা বজ্রঝড় এবং নাচও পছন্দ করতে পারে, তবুও তারা দ্বন্দ্বের অসহিষ্ণু এবং সংগীতের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল।


বিঃদ্রঃ নিজ উদ্দোগে কোন ঔষধ সেবন করবেন না, নিকটস্থ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি ঔষধ সেবন করুন


Share:

Clock

Facebook Page

ব্লগ সংরক্ষাণাগার