মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০

Apis mel (এপিস মেল)

 সাধারণ লক্ষণঃ

    ত্বকের কোষীয় টিস্যুগুলির উপর এবং মিউকাস মেমব্রেনের শোথ সৃষ্টি করে। বিভিন্ন অংশে ফোলাভাব বা ফুসকুড়ি, লাল গোলাপী আভা, যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা, ঘা, গরমের অসহিষ্ণুতা এবং সামান্য স্পর্শ এবং বিকেলে উত্তেজকতা কিছু সাধারণ লক্ষণ এবং কিডনির প্রদাহ। এপিস বিশেষত বাইরের অংশ, ত্বক, অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির আবরণ, সিরিস ঝিল্লিগুলিতে কাজ করে। এটি ফুসফুস, মস্তিষ্কের ঝিল্লি, হার্ট, প্ল্যুরিটিক এফিউশন ইত্যাদির সাথে সিরিয়াস প্রদাহ সৃষ্টি করে স্পর্শে এবং সাধারণ ব্যথায় চরম সংবেদনশীলতা চিহ্নিত করা হয়। এপিসের বিশেষ লক্ষণ হলো সকল লক্ষণের সাথে শোথ বা ফোলাভাব বা ফোলা থাকে এবং হুল ফোটার ন্যায় জ্বালা অনুভূত হয়।



মনঃ

     উদাসীনতা এবং অজ্ঞানতা। হিংসা, ভয়, ক্রোধ, উদ্বেগ, শোক, পড়া বা অধ্যয়নের চেষ্টা করার সময় মনকে কেন্দ্রীভূত করতে না পারা।

মাথাঃ

     পুরো মস্তিষ্ক অনেক ক্লান্ত বোধ করে। হাঁচি দিলে বা চোখ বন্ধ করায় খারাপ বোধ। উত্তাপ, ধড়ফড় করা, জটিল ব্যাথা, চাপে ভালবোধ এবং গতিতে আরও খারাপবোধ।

চোখঃ

     লাল রঙের, স্ফীত, পোড়াও এবং কনজেক্টিভা উজ্জ্বল লাল, দমকা। কক্ষপথের চারপাশে ব্যথা। কর্নিয়ার স্ট্যাফিলোমা।

 কানঃ

     বাহ্যিক কান লাল, ফোলা, ঘা এবং যন্ত্রণা।

 নাকঃ

     নাকের ডগায় শীতলতা। তীব্র ব্যথা সহ লাল, শোথ বা ফুলে উঠা।

মুখঃ

     ফুলে গেছে, লাল, ব্যথা। ডান থেকে বামে প্রসারিত। জিহ্বা জ্বলন্ত লাল, ফোলা, ঘা, জিহ্বা টুকরো টুকরো করা অনুভূতি, লাল ও গরম। মাড়ি ফুলে গেছে। ঠোঁট ফোলা, বিশেষত উপরের। এরিসিপ্যালাসের মতো লাল, ঝাঁকুনি, জিহ্বার ক্যান্সার।

মলঃ

     প্রতিটি গতিতে অবিচ্ছিন্ন, রক্তাক্ত, ব্যথাহীন মলদ্বার। ডায়রিয়া জলযুক্ত, হলুদ; মল ছাড়া প্রস্রাব করা যায় না, খাওয়ার পরে আরও খারাপ। কোষ্ঠকাঠিন্য; মনে হয় যেন মলদ্বারে কিছু  ফোটানো আছে।

প্রস্রাবঃ

     প্রস্রাব করার সময় জ্বলন্ত জ্বালা এবং বেদনা। আগুনের মত জ্বালা, প্রস্রাব ভালভাবে নির্গত না হওয়া। প্রস্রাবের সময় হুল ফোটারমত জ্বালা অনুভূত হয়।

 মহিলা.

     ল্যাবিয়ার শোথ; ঠান্ডা জল দ্বারা মুক্তি ব্যথা এবং শোকের যন্ত্রণা; ওভারাইটিস; ডান ডিম্বাশয়ে খারাপবোধ। মাসিকগুলি দমন করা হয়, মস্তিষ্কে এবং মাথার লক্ষণগুলির সাথে, বিশেষত কম বয়সী মেয়েদের মধ্যে। মারাত্মক ডিম্বাশয়ের ব্যথা সহ ডিসম্যানোরোহিয়া। ভারী পেট, অজ্ঞানতা, ডিম্বাশয়ের টিউমার, পেট এবং জরায়ু অঞ্চলের উপর দুর্দান্ত কোমলতা।

বিঃদ্রঃ নিজ উদ্যোগে কোন ঔষধ সেবন করবেন না, নিকটস্থ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি ঔষধ সেবন করুন।

 

Share:

রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০

বিয়ের আগে হবু বর ও কনের ব্লাড গ্রুপ পরীক্ষা করা কি অত্যন্ত জরুরী?


অনেক হবু স্বামী -স্ত্রীকে দেখা যায় ব্লাড গ্রুপ নিয়ে চিন্তিত হতে। বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা বর ও কনের ব্লাড গ্রুপ মিলে গেলে হতে পারে নানান রকম সমস্যা? আসলেই কি তাই? না, ধারণাটি একদম ভুল। ব্লাড গ্রুপ মিলে গেলে কোনো সমস্যা নেই। অর্থাৎ স্বামী বা স্ত্রীর উভয়ের ব্লাড গ্রুপ যদি Positive অথবা Negative হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই শুধু স্বামীর রক্তের গ্রপ যদি Positive হয় এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রপ যদি Negative হয় সমস্যা শুধু সেইখানেই। আবার স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ যদি Positive হয় এবং স্বামীর Negative হয় তাহলেও কোন সমস্যা নেই। তবে বিয়ের আগে বর ও কনের ব্লাড গ্রুপ পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। কেন এটা এত জরুরী? নিম্নের বিষয় গুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন।

ব্লাড গ্রুপ পজিটিভ অথবা নেগেটিভ কেন হয়? 

  রক্তে যদি Rh factor নামে একটি ফ্যাক্টর থাকে যাহা এক প্রকার Protein, এটি রক্তের red cell এর surface এ অবস্থান করে। Rh factor বা Rhesus factor যাহা Rhesus নামক এক প্রজাতীর বানরের রক্তের কমন factor. ইহা যদি রক্তে উপস্থিত থাকে তবে রক্ত হবে +ve (positive), আর যদি Rh factor উপস্থিত না থাকে তাহলে রক্ত হয় Negative (-ve).

ব্লাড গ্রুপের প্রকারভেদঃ 

 রক্তের প্রধান গ্রুপ ২টি যথা – ‘A’ ও ‘B’ সর্বমোট গ্রুপ গুলো নিম্নরুপঃ A +ve, A -ve, B +ve, B -ve, AB +ve, AB –ve, O +ve, O –ve

Rh factor বা রক্তের গ্রুপ negative বা positive কি ভাবে সৃষ্টি হয়? 

যদি পিতা-মাতার যে কোন একজনের রক্তে Rh factor থাকে তবে সন্তানের রক্তে Rh factor +ve (positive) অথবা Rh factor –ve (Negative) হতে পারে। অর্থাৎ বাবা মায়ের যে কোন একজনের রক্তের গ্রুপ positive হলে সন্তানের রক্তের গ্রুপ positive অথবা Negative হবে। কিন্তু পিতা-মাতার উভয়ের রক্তের গ্রুপ যদি positive হয় তবে সন্তানের রক্তের গ্রুপ হবে positive আবার পিতা-মাতার উভয়ের রক্তের গ্রুপ যদি Negative হয় তবে সন্তানের রক্তের গ্রুপ হবে Negative এটি একটি inherited case বা Genetic ব্যাপার।

Rh factor এর উপস্থিতি বা রক্তের গ্রুপ Positive অথবা Negative হলে কি হয়? 

 মায়ের রক্তের গ্রুপ যদি Negative হয় এবং ভ্রুনের রক্তের গ্রুপ যদি Positive হয় সে ক্ষেত্রে মায়ের রক্তের সঙ্গে সন্তানের রক্তের একটি Miss matching হয় medical term এ যাকে Rh incompatibility বলে। এ ক্ষেত্রে ১ম সন্তানের বেলায় তেমন কোন সমস্যা হয়না তবে পরবর্তী সন্তানের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
গর্ভকালিন সময়ে ভ্রুনের রক্ত এবং মায়ের রক্ত বিনিময় হয়না কিন্তু গর্ভাবস্থার শেষের দিকে যে কোন এক সময় অথবা প্রসব কালীন সময়ে সামান্য কিছু রক্ত ভ্রুণ দেহ থেকে গর্ভফুলের মাধ্যমে মায়ের দেহে স্থানান্তর হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মায়ের রক্ত ও ভ্রুণের রক্ত মিশে গিয়ে ভ্রুণের Rh factor মায়ের দেহে Rh immunoglobulin নামক Antibody তৈরী করে।আর পরবর্তীতে গর্ভকালীন সময়ে সমস্যার সৃষ্টি করে এই Rh Immunoglobulin antibody.
এই antibody পরবর্তী গর্ভ কালীন সময়ে Rh +ve ভ্রুণের দেহে প্রবেশ করে তার লোহিত রক্ত কনিকা গুলিকে (RBC) আক্রমন করে, মুলত RBC কে ধ্বংশ করে। (agglutination হয়)। এ অবস্থাকে hemolytic anemia বল। পরর্বতীতে hemolytic anemia এর কারণে গর্ভের ভ্রুণ মারা যায়। (Hemoglobin কমে যাওয়ায় ভ্রুণের দেহে Oxygen এর ঘাটতি দেখা দেয়। ভ্রুণ মারা যাওয়ার এটিও একটি কারন।)

সমস্যা সমাধানরে উপায়- 

১.বিবাহ পূর্ব সর্তকতাঃ- Blood group জেনে বিয়ে করা।
২. বিবাহ উত্তর করণীয়ঃ- একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থেকে সন্তান জন্মদানের ব্যবস্থা নেয়া। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ সমস্যার সমাধান আছে।
Share:

ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ কী, কারন ও লক্ষণ।



বেশিরভাগ সময়েই মেয়েরা তাদের শারীরিক সমস্যাগুলো এড়িয়ে যায় বা কারো সাথে খোলামেলা আলোচনা করতে ইতস্তত বোধ করে। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর মাসের নির্দিষ্ট কয়েকটি দিন প্রতিটা মেয়েকেই পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এটা অতি স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক ঘটনা! তেমনি সাদাস্রাব বা হোয়াইট ডিসচার্জও মেয়েদের জন্য একটি সর্বজনীন বিষয়। প্রতিটা মেয়েরই জানা উচিত যে মাসের কোন সময়ে কেমন ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ থাকতে পারে, এটার স্বাভাবিক রঙ কেমন হয় ও কোন সময়ে তাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। চলুন, আজ আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেই!



ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ কী?

যোনিপথ দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে যেই স্রাবটা বের হয়, সেটাই ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ! ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ মেয়েদের প্রজনন পদ্ধতিকে পুনরুৎপাদনশীল করে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফ্লুইড বা মিউকাস বের হয়ে ভ্যাজাইনার মৃত কোষ, অনিষিক্ত ডিম্বাণু ও ব্যাকটেরিয়া বের করে দেয় এবং ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। ডিসচার্জের মাধ্যমে মেয়েদের রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেম বা প্রজননতন্ত্র পরিষ্কার ও সচল থাকে। ভ্যাজাইনায় অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যার পরিমাণ হরমোন ও এসিডের মাত্রা দ্বারা নিজস্ব পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত হয়।

ডিসচার্জ বেশি হওয়ার কারণ

বয়সভেদে মাসিকচক্র অনুযায়ী মেয়েদের ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জের পরিমাণ, রং ও টেক্সচার বা ঘনত্ব আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। মাসের একটা নির্দিষ্ট সময়ে আঠালো, সাদা ও স্বচ্ছ স্রাব যেতে পারে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিশেষ কিছু সময় ছাড়া অতিরিক্ত ডিসচার্জ অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যহীনতার কারণ হতে পারে। স্রাব বেশি হওয়ার কারণগুলো একনজরে দেখে নিন তাহলে-
১) জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ গ্রহণ
২) শরীরে হরমোন ও পি এইচ ব্যালেন্সের তারতম্য
৩) অপুষ্টি ও পানি ঠিকমতো না খাওয়া
৪) গর্ভাবস্থা ও ডায়াবেটিস

মাসিকচক্রে ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ এর রং ও ধরন

প্রত্যেকটি মেয়েরই তার স্রাবের রং ও গন্ধ স্বাভাবিক আছে কি না সেটা নিজে নিজে পরীক্ষা করা প্রয়োজন। সময়ভেদে ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জের ঘনত্ব বিভিন্ন রকম হতে পারে। এই ডিসচার্জের যেকোনো অস্বাভাবিকতা আপনার অসুস্থতার ইঙ্গিত হতে পারে। মেন্সট্রুয়াল সাইকেলে কোন সময়ে কেমন স্রাব যাওয়া স্বাভাবিক, সেটা প্রত্যেকটি সচেতন নারীর জানা প্রয়োজন। চলুন এবার তা জানার চেষ্টা করি-

১) দিন ১-৫

মাসিকচক্রের ১-৫ দিন সাধারণত লাল রঙের ব্লাড যায়, যেটা পিরিয়ডের রক্ত! ঋতুস্রাব হচ্ছে অনিষিক্ত ডিম্বাণু, মিউকাস, ইউটেরাইন টিস্যুর মৃত কোষ ইত্যাদির সংমিশ্রণ। অনেকের ৭ দিন পর্যন্ত পিরিয়ড থাকতে পারে।

২) দিন ৬-১৪

মাসিক শেষ হবার পরপরই ভ্যাজাইনা শুষ্ক অনুভূত হয়। এ সময়ে ওভারিতে ডিম্বাণু তৈরি ও ম্যাচিউর হওয়া শুরু করে। অনেকের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে ঘন, সাদা কিংবা হলদেটে স্রাব যেতে পারে।

৩) দিন ১৪-২৫

এই ফেজকে উর্বর সময় বা fertile window বলা হয়ে থাকে অর্থাৎ এই সময়ে ডিম্বাণু নিষ্কাশন হয়ে ফেলোপিয়ান টিউবে আসে। তাই এই সময়ে শারীরিক মিলনে সন্তান গর্ভে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ওভাল্যুশনের সময় ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ বেশি হতে পারে এবং ডিমের সাদা অংশের মতো পাতলা, পিচ্ছিল ও স্বচ্ছ স্রাব হয়ে থাকে। ওভাল্যুশনের পর যোনি পথ আবার শুষ্ক ফিল হয় কিংবা সামান্য আঠালো ও ঘন স্রাব থাকতে পারে।

৪) দিন ২৫-২৮

পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগের সময়টা সাধারণত ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ থাকে না বললেই চলে! এই সময়ে মেয়েদের প্রজননতন্ত্র পিরিয়ডের জন্য প্রস্তুতি নেয়। আর ডিম্বাণু যদি শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়ে যায়, সেটা জরায়ুতে স্থাপিত হয়। আর সেই সময় হালকা গোলাপি বা বাদামি রঙের ডিসচার্জ যেতে পারে। এটাকে ইমপ্ল্যানটেশন ব্লিডিং (implantation bleeding) বলা হয়।

কোন সময়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত?

স্রাবের কোনো অস্বাভাবিক রঙ ও ধরন খেয়াল করলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ জরায়ুর ইনফেকশন, ক্যানসার এসব রোগের লক্ষণও প্রকাশ পায় ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জের মাধ্যমে। তাহলে জেনে নিন কিছু অস্বাভাবিক ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ সম্পর্কে!
১) হলুদ স্রাব অস্বাভাবিক, এটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা যৌনবাহিত সংক্রমণের একটি চিহ্ন। সাধারণত দুর্গন্ধও পাওয়া যায় এই ধরনের ডিসচার্জে।
২) বাদামী রঙের স্রাব যাদের অনিয়মিত মাসিক চক্র থাকে তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এটি অনেক সময় জরায়ুমুখের ক্যান্সারের লক্ষণ হয়ে থাকে।
৩) সবুজ স্রাব জীবাণু সংক্রমণের লক্ষণ। যৌনবাহিত ইনফেকশন থাকলেও অনেক সময় সবুজাভ ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ যেতে পারে।
৪) ধূসর রঙের স্রাব অস্বাস্থ্যকর এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত একটি উপসর্গ হতে পারে। ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে যোনীপথে আরও উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমন- অস্বস্তি, চুলকানি ইত্যাদি।
৫) ইস্ট বা ছত্রাক সংক্রমণে পুরু, ঘন এবং সাদা স্রাব নির্গত হয়। মোটামুটিভাবে ৯০ শতাংশ মহিলারা তাদের জীবনের কোন না কোন সময়ে ছত্রাক সংক্রমণের সম্মুখীন হয়।
তাহলে জেনে নিলেন, মাসিকচক্র অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ সম্পর্কে! অস্বাভাবিক রঙের স্রাব ছাড়াও মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্ত যাওয়া, সময়মতো পিরিয়ড না হওয়া, অতিরিক্ত দুর্গন্ধ এসব কারণেও ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। যোনিপথের যেকোনো সমস্যা কিংবা ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জের অস্বাভাবিকতা থাকলে অবশ্যই একজন সুদক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা নেয়া উচিত। সুস্থ থাকুন, সুস্থ রাখুন।

Share:

মেনোপজ কী, কেন হয় ও এর লক্ষণ


অনেক মহিলাই আছেন, যাদের মেনোপজ এর সময় এগিয়ে আসছে এবং এটা নিয়ে তাদের মধ্যে একটা চাপা আতংক বা দুশ্চিন্তা কাজ করে। অনেকে আবার এটা নিয়ে কুসংস্কারে ভোগেন। এই সময়টা সব মহিলাকেই ফেস করতে হবে, তাই অহেতুক চিন্তা না করে, এই সময় কি কি হতে পারে এবং তার বিপরীতে কী কী করা যেতে পারে, সেগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে বিষয়টা মোকাবেলা করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

মেনোপজ কী? 

মেনোপজ (menopause) কী সেটা নিয়ে একটা ক্লিয়ার ধারণা থাকা দরকার। মেনোপজ মহিলাদের জন্য খুব স্বাভাবিক একটা অবস্থা, যেটা সাধারণত বয়েস চল্লিশ পার হবার পরে সকলেরই হয়ে থাকে। একজন মহিলার স্বাভাবিক সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পাওয়া এবং রিপ্রোডাকশন পিরিয়ড সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঠিক আগের সময়টায় যে শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনগুলো আসে, সেগুলোকেই মেনোপজের শুরু বলা যায়।

মেনোপজ কেন হয়?

একজন মহিলা সাধারণত একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ডিম্বাণু নিয়ে জন্ম গ্রহন করেন, যেগুলো তার জরায়ুতে সংরক্ষিত থাকে। জরায়ু মহিলাদের শরীরের ইসট্রোজেন এবং প্রজেসটেরন হরমোন তৈরি করে, যেটা প্রতিমাসের মাসিক এবং ওভাল্যুশনকে নিয়ন্ত্রন করে। যখন জরায়ু থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায় এবং মাসিক বন্ধ হয়ে যায়, তখনই মেনোপজ হয়।

মেনোপজের ধাপ কয়টি? 

মেনোপজ এর তিনটি ধাপ রয়েছে। যথাক্রমেঃ পেরিমেনোপজমেনোপজ এবং পোষ্ট মেনোপজ। মেনোপজ শুরুর আগের কয়েক বছর সময়কে বলা হয় পেরিমেনোপজ। এইসময় আস্তে আস্তে মেনোপজ এর লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। অর্থাৎ মেনোপজ শুরুর দুই থেকে তিন বছর আগে থেকেই এই প্রক্রিয়াটি শুরু হয়ে যায়। আর মেনোপজ হচ্ছে এই প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে এক বছর পর্যন্ত সময়কালকে।
এই সময় যে যে শারীরিক পরিবর্তন সেগুলো নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। যেটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এগুলো ধামাচাপা দিয়ে না রেখে বরং কাছের মানুষ, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

মেনোপজ এর লক্ষণ

১) হট ফ্ল্যাশ

মেনোপজ এর সময় যে জিনিসটা সকলকে খুব ভোগায় তা হলো হট ফ্ল্যাশ (Hot Flash)। বাইরের কোনও উৎস ছাড়াই হঠাৎ করে ভীষণ গরম লাগা। সেটা খুব ঠাণ্ডার দিনেও হতে পারে। এর সময়কাল কয়েক সেকেন্ড থেকে শুরু করে মিনিট দশেক পর্যন্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা পানি খেতে পারেন। একটু ঢিলে সুতির কাপড় পড়তে পারেন। এতে হট ফ্ল্যাশ হলেও স্বস্তিতে থাকবেন।

২) চুল পড়া

মেনোপজ এর সময়ে হঠাৎ করে অনেক চুল পড়া শুরু হয়। এতে অনেকে খুব অস্বস্তিতে ভোগেন নিজেদের বাহ্যিক পরিবর্তনে। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে যে চুল পড়াটা স্থায়ী কিছু না। মূলত ইসট্রোজেন এবং প্রজেসটেরন হরমোন এর উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে চুল পাতলা হওয়া শুরু হয়। এটা একেবারে থামানো সম্ভব না। তবে স্ট্রেস ফ্রি থাকা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, পুষ্টিকর ডায়েট মেনে চলা, ভিটামিন সাপ্লিমেনট নেয়া ইত্যাদি চুল পড়ার হার অনেকটা কমিয়ে আনতে পারে।

৩) যৌন মিলনে অনিহা

ইসট্রোজেন এবং প্রজেসটেরন হরমোন এর উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে শারীরিকভাবে যৌন মিলনের আগ্রহ অনেকটা কমে যায়। পাশাপাশি ইসট্রোজেন হরমোন কমে যাওয়ায় যোনিপথ অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে থাকে, যে কারণে যৌন মিলন মহিলাদের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া টোটকা বা এর ওর কথা না শুনে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াই শ্রেয়।

৪) মুড সুইং

এসময় শরীরে ইসট্রোজেন হরমোন এর ঘাটতি থাকে বলে সেরেটোনিন এবং ডোপামিন হরমোন এর ইমব্যালান্স দেখা দেয় শরীরে। যে কারণে ঘন ঘন মুড বদলাতে থাকে। এর আরও একটি কারণ হলো এসময়ের অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তন। যেমন- ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়া, হট ফ্ল্যাশ। এগুলোর কারণেঅনেকেই সারাক্ষণ স্ট্রেস এ ভোগেন যেটা থেকে তুচ্ছ কারণে খিটখিটে মেজাজ দেখা দেয়। তবে নিয়মিত ব্যায়াম, নিয়ম করে হাঁটা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্ট্রেস ফ্রি থাকতে পারলে এ সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।

৫) জয়েন্ট পেইন

শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা, বিশেষ করে হাঁটু, কনুই, আঙ্গুল, পিঠ এইসময় থেকে শুরু হতে থাকে। তবে মেনোপজ ছাড়াও কারো যদি আথ্রাইটিসলুপাস এবং বারসাইটিস এর সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এই ধরনের ব্যথা বেশ খারাপ আকার ধারন করে। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো এগুলোর কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই। বিভিন্ন ধরনের থেরাপি, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ, ওজন নিয়ন্ত্রন এই ব্যথার কিছুটা উপশম করে থাকে।

৬) ওজন বৃদ্ধি

মেনোপজের সময়ে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি একটা অন্যতম সমস্যা। এটার কারণে হাঁটু , কোমর এবং পিঠের ব্যথায় ভোগেন অনেকে। এই সময় যেহেতু ইসট্রোজেন এবং প্রজেসটেরন হরমোন হ্রাস পায় শরীরে তাই সন্তান উৎপাদন ক্ষমতাও কমতে থাকে। এই হরমোনের অভাবে ওজন নিয়ন্ত্রন করাও কষ্টকর হয়ে পরে আস্তে আস্তে। এছাড়া বয়সের এই ধাপে এসে পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুই ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন, এসময় ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে চাকরি, পড়াশোনা বা বিয়ের কারণে দূরে চলে যায়। চাকরিজীবীদের পেনশনে চলে যাওয়ার সময় চলে আসে। এসব কারণে মনের অস্থিরতা বাড়ে। তাই চল্লিশের পর থেকেই পরিমিত খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা খুব জরুরি। কেননা, এই ওজন বৃদ্ধির ফলে ডায়াবেটিসউচ্চ রক্তচাপ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

৭) অনিদ্রা

মেনোপজ এর সময়ে মহিলাদের আরেকটা সমস্যা হলো ঘুম না হওয়া বা ঘুম হলেও ঘুম থেকে ওঠার পরেও সারাদিন ঘুম ঘুম লাগা বা ক্লান্তি লাগা । অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় রাতে ঘুম থেকে উঠে বসে আছেন। যার কারণ হট ফ্ল্যাশ বা প্রচণ্ড ঘেমে যাওয়া। আবার এই বয়সে অনেকে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্ত চাপ বা অন্য কোন অসুখের কারণে ওষুধ শুরু করেন। এসব ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবেও অনিদ্রা হতে পারে। এক্ষেত্রে অনেকে ঘুমের ওষুধ খাওয়া শুরু করেন, যেটা একেবারেই ঠিক না। শুধু মাত্র ডাক্তারের পরামর্শেই ঘুমের ওষুধ খাবেন। ভালো ঘুম হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ঘুমের সময়, উপযুক্ত ব্যায়াম, ক্যাফেইন গ্রহন কমিয়ে আনা এই কাজগুলো বেশ ভালো কাজ দেয়।
পরিশেষে বলবো, মেনোপজ খুব স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। যেটা একটা বয়সের পরে সব মহিলাদের গ্রহন করতে হবে। এই সময়ে যেহেতু হুট করে শারীরিক একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আসে, সেটা নিয়ে অনেকেই হীনমন্যতায় ভোগেন, ডিপ্রেশনে পরে যান। কিন্তু পুরো বিষয়টাকে সহজভাবে গ্রহন করলে এবং পরিবারের কাছের মানুষের সাপোর্ট পেলে পুরো ব্যাপারটাই অনেক সহজ হয়ে যায়। ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন।
Share:

সোমবার, ৮ জুন, ২০২০

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি সংক্রান্ত নির্দেশনার আলোকে ফেইস মাস্কের যথাযথ ব্যবহার বিধি


১)         কর্মস্থলে সার্বক্ষনিক ফেইস মাস্ক  পরিধান করতে হবে। ব্যবহৃত মাস্ক সার্জিক্যাল বা তিনপরত বিশিষ্ট কাপড়ের তৈরী হতে হবে।
২)         সার্জিক্যাল মাস্ক শুধুমাত্র ০১ (এক) বার ব্যবহারযোগ্য। ব্যবহারের পর তা অবশ্যই ঢাকনাযুক্ত নির্দিষ্ট ঝুড়ি/ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে। কাপড়ের তৈরী মাস্ক পুনঃব্যবহার যোগ্য এবং ডিটারজেন্ট/সাবান-পানিতে ধুয়ে ব্যবহার করা যাবে।
৩)         মাস্ক পরিধানের সময় এমনভাবে পরিধান করতে হবে যেন তা নাকের উপরিভাগ থেকে থুঁতনি/চিবুকের নিম্নাংশ পর্যন্ত আবৃত রাখে এবং কোথাও যেন ফাঁকা জায়গা না থাকে।
৪)         পরিধান এবং খোলার সময় মাস্কের দুই পার্শ্বের ফিতা ধরে আলতোভাবে পরতে/খুলতে হবে যেন কোনক্রমেই মুখমন্ডল, ঘাড়, গলায় স্পর্শ না করে।
৫)         কোন অবস্থাতেই পরিধানকৃত মাস্কের মাঝখানে স্পর্শ করা যাবে না। স্পর্শ লেগে গেলে ব্যবহৃত মাস্ক খুলে ফেলতে হবে এবং হাত সাবান-পানি/স্যানিটাইজার দিয়ে জীবানুমুক্ত করতে হবে।
৬)         ফেইস মাস্ক সার্বক্ষণিক যথাস্থানে পরিধান করতে হবে। কোন অবস্থাতেই গলায় ঝুলিয়ে রাখা যাবে না এবং ব্যবহারকালীন অবস্থায় মাস্ক নামিয়ে কথা বলা যাবে না।



Share:

শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০

অনিদ্রায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


কফিয়া ক্রুডা – ভবিষ্যতের জন্য মনের মধ্যে সর্বদা নানাপ্রকার চিন্তা ও কল্পনা তজ্জন্য অনিদ্রা। ঘুম যেন কিছুতেই চোখে আসে না। সমস্ত রাত্রি বিছানায় ছটফট করে। হঠাৎ শোক, দুঃখ, উদ্বেগ, আনন্দ তাহার কুফলে পীড়া। কোন চর্মপীড়ায় চুলকানির ফলে অনিদ্রা।
নাক্স ভোমিকা - নাক্স ভোমিকার রোগী প্রায়শই খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে পারেন তবে দুর্দান্ত মানসিক ক্রিয়াকলাপ বা উদ্বেগের সাথে ভোর ৫ টা বা ৪:০০ এ জাগ্রত হয়। জাগ্রত হওয়ার পর আর ঘুম আসে না। বিছানায় এপাশ ওপাশ করে। এই জাতীয় তীব্র অনিদ্রা সাধারণত ওষুধের অত্যধিক ব্যবহার বা অ্যালকোহল, কফি এবং ওয়াইন সহ উত্তেজক দ্বারা বা অতিরিক্ত কাজ বা অতিরিক্ত অধ্যয়নের ফলে হয়। সাধারণ নাক্স ভোমিকার রোগী বিরক্তিকর, সহজেই ক্ষুব্ধ এবং অধৈর্য ধরনের হয়।



ক্যামোমিলা - যাদের ক্যামোমিলার প্রয়োজন হয় তারা সাধারণত বিরক্তিকর, অসম্পূর্ণ অবস্থায় থাকেন। তারা প্রায়শই ব্যথা বা বিরক্তিতে ভোগে। তারা দিনের বেলা ঘুমানোর অদ্ভুত লক্ষণ থাকতে পারে। এই বিরক্তিকরতা প্রায়শই দাঁত উঠা শিশুদের মধ্যে পাওয়া যায়।
ককুলাস - যাদের এই ঔষধের প্রয়োজন তাদের ক্লান্তি থেকে নিদ্রাহীন। অনেকদিন পর্যন্ত রাত্রি জাগিয়া অনিদ্রাবশত কোনও পীড়া বা অনিদ্রা। এটি প্রায়শই রাত্রে দেখা বা অসুস্থ ব্যক্তিদের নার্সিংয়ের সাথে সম্পর্কিত ঘুম হ্রাস থেকে আসে। জেগে ওঠার মাধ্যমে তাদের ঘুম ব্যাহত হতে পারে।
বেলাডোনা – এই ঔষধের রোগীরা নিদ্রাহীন, তবুও ঘুমাতে পারছেন না। তারা প্রায়শই ঘুমের সময় বা ঘুমিয়ে পড়ার সময় হঠাৎ ঝাঁকুনি দেয়। তারা প্রায়শই অস্থির থাকে। তীব্র অসুস্থতা বা জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এই জাতীয় নিদ্রাহীন অবস্থা প্রায়শই দেখা যায়।
জেলসিমিয়াম - অনিদ্রার জন্য যাদের এই ঔষধের প্রয়োজন হয় তারা প্রায়শই নিস্তেজ ও নিবিড়, এমনকি কাঁপতে থাকে। তবুও তারা পুরোপুরি ঘুমাতে পারে না। কখনও কখনও তারা ঘুমিয়ে পড়া শুরু করে। অবশেষে যখন ঘুমায় তখন তাদের অস্থির ঘুম বা বোকা, ভারী ঘুম হতে পারে।
ক্যাপসিকাম - যাদের ঘরের অসুস্থতা বা অনুরূপ সংবেদনশীল অবস্থায় থেকে নিদ্রাহীনতায় ভোগে তাদের এই ঔষধটি প্রয়োজন হয়। বিশেষত যদি তাদের লাল গাল থাকে।
স্টেফিসাগ্রিয়া – এই ঔষধের রোগীদের দিনের বেলায় নিদ্রা হয় বেশ। কিন্তু রাত্রিতে অনিদ্রায় ভোগে ও আচ্ছন্নভাব দেখা যায়।
হায়োসিয়েমাস- শিশুদের অনিদ্রা, একটু নিদ্রা আসিলেই শিহরিয়া উঠে, হাত পা কাপিয়া চিৎকার করিয়া কাদে। কোন কোন ব্যক্তি ঘুমাইতে হঠাৎ লাফাইয়া উঠে, অনিদ্রার কোন প্রকৃত কারণ পাওয়া যায় না, আদৌ ঘুম হয় না।
ইগ্নেসিয়া- শোক বা দুঃখ চাপিয়া রাখিবার জন্য পীড়া। মনের কষ্ট কাহাকেও বলে না। অনিদ্রায় অস্থিরতা, মাথায় বোধ হয় যেন কেহ এক পার্শ্ব দিয়া একটি পেরেক ঢুকাইয়া দিয়াছে।

উপরোক্ত ঔষধসমূহ ছাড়াও অন্য ঔষধের প্রয়োজন হতে পারে অতএব লক্ষণ ভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন।

বিঃদ্রঃ নিজ উদ্দোগে কোন ঔষধ সেবন করবেন না, নিকটস্থ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি ঔষধ সেবন করুন।

Share:

বুধবার, ৬ মে, ২০২০

ঔষধের শক্তি নির্বাচনের উপায়

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ঔষধের শক্তি নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হোমিওপ্যাথিকে ‍বিভিন্ন রোগের অবস্থার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শক্তির ঔষধ ব্যবহার করতে হয়। প্রথমেই জানা প্রয়োজন হোমিওপ্যাথিক ঔষধের শক্তি সম্পর্কে।
Range of Potency:
1)     Low= Mother tincture (Q) to 12C
2)     Medium= 30C to 200C
3)    High=1M to 50M
4)    Highest= CM, DM, MM.
এখানে M=১০০০, CM= ১ লক্ষ, DM=৫ লক্ষ, MM= ১০ লক্ষ


  •         তরুন পীড়ায় অধিক সাদৃশ্য ঔষধটি নির্বাচন করিয়া সাধারনত ৩০ শক্তির ঔষধ প্রয়োগ করাই শ্রেয়। যদি রোগের তীব্রতা অধিক হয় তবে নিম্নশক্তির ঔষধ ব্যবহার করা উত্তম আর যদি রোগের তীব্রতা খুব বেশী না হয় তবে মধ্য শক্তির ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  •         কোন চিররোগের রোগীর চিকিৎসা আরম্ভ করিবার সময় যদি দেখা যায় রোগীর তরুন কষ্টকর কিছু লক্ষণ আছে তবে সেক্ষেত্রে রোগীকে প্রথমে স্বল্পকালীন ক্রিয়াশীল ঔষধ নিম্ন বা মধ্য শক্তিতে প্রয়োগ করিয়া প্রথমে কষ্টকর লক্ষণ দূর করিয়া পরবর্তীতে লক্ষণ মোতাবেক চিররোগের গভীরভাবে ক্রিয়াশীল ঔষধ উচ্চশক্তিতে প্রয়োগ করিতে হবে।
  •         চিররোগের চিকিৎসায় যদি অন্যকোন লক্ষণ বা তরুণ কোন কষ্টকর লক্ষণ না থাকে তবে গভীর ক্রিয়াশীল ঔষধ প্রথমেই  উচ্চ শক্তিতে প্রয়োগ করিতে হবে। তবে গভীর ক্রিয়াশীল উচ্চ শক্তির ঔষধ প্রয়োগ করিবার সময় অবশ্যই রোগীর জীবনী শক্তির দিকে খেয়াল রাখিতে হবে। যদি দেখা যায় রোগীর জীবনীশক্তি দূর্বল সেক্ষেত্রে উচ্চশক্তির ঔষধ প্রয়োগ করিলে ঔষধের প্রতিক্রিয়ায় রোগীর ক্ষতি হতে পারে, এমন অবস্থায় রোগীকে আগে নিম্ন বা মধ্য শক্তির ঔষধ প্রয়োগ করিয়া জীবনীশক্তি সবল করিয়া পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে রোগীকে উচ্চ হতে উচ্চতর শক্তি প্রয়োগ করিতে হবে।
  •        যেখানে কোন চর্মরোগ বা অন্যকোন স্রাব চাপা পড়িয়াছে ইতিহাস পাওয়া যায় সেখানে পুনরায় স্রাব নির্গমণ করিতে হবে অন্যথায় আরোগ্য হওয়ার আশা করা যায় না। এসব ক্ষেত্রে তরুণ অবস্থায় মধ্য শক্তি এবং চিররোগের ক্ষেত্রে উচ্চ শক্তির ঔষধ ব্যবহার করা প্রয়োজন।
  •         তরুণ বা চির যে কোন রোগের বেলায় যদি লক্ষণের বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখা যায় তবে এমতাবস্থায় ৩০ বা ২০০ শক্তির উপরে ঔষধ ব্যবহার করা উচিত নয়।
  •         যেখানে রোগী অতিশয় দূর্বল বা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে উপস্থিত হইয়াছে সেখানে কোন অবস্থাতেই উচ্চ শক্তির ঔষধ প্রয়োগ করা যাবে না। সেখানে নিম্ন বা মধ্য শক্তির ঔষধ ব্যবহার করিতে হবে।
  •         উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত কোন রোগের প্রবনতাকে আরোগ্য করিতে হইলে প্রথমেই উচ্চশক্তির ঔষধ প্রয়োগ করিতে হবে।

হোমিওপ্যাথিতে রোগীর চিকিৎসায় ঔষধ নির্বাচন করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচিত ঔষধের শক্তি নির্বাচন করা। যদি ঔষধ নির্বাচন সঠিক হয় কিন্তু ঔষধের শক্তি নির্বাচন সঠিক না হয় তবে রোগী আরোগ্য লাভ না ও করতে পারে। সুতরাং রোগীকে আরোগ্য লাভ করার জন্য সাদৃশ্য মতে ঔষধ নির্বাচন করা যেমন আবশ্যক তেমনিভাবে নির্বাচিত ঔষধের শক্তির নির্বাচনও সঠিক হওয়া আবশ্যক।
Share:

বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০

জ্বরে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


একোনাইটঃ অত্যন্ত গাত্র দাহ, প্রবল পিপাসা, ভয়ানক অন্তর্দ্দাহ, ছটফটানি, যন্ত্রনায় একেবারে অস্থির হইয়া পড়িয়াছে, নাড়ীর গতি অত্যন্ত দ্রুত, গায়ে ঘর্ম্মের লেশ মাত্র নাই, চর্ম্ম শুষ্ক ও খসখসে।


বেলেডোনাঃ গা অত্যন্ত গরম থাকে, এত গরম যেন হাত পুড়িয়া যায়, মধ্যে মধ্যে ঘাম হয়, কখনও কখনও ঘাম এত অধিক হয় যেন মনে হয় বুঝি এইবার জ্বর ছাড়িল, কিন্তু তখনই আবার তেমনই জ্বর ও গা গরম, ঘর্ম শুষ্ক হইয়া যায়। যে অঙ্গ গুলো চাপা থাকে তথায় অধিক ঘাম হয়। রোগীর ঘুম আসে কিন্তু ঘুম হয় না মাঝে মাঝে চমকাইয়া উঠে। জ্বর হঠাৎ আসিয়া কষ্টদায়ক যন্ত্রণাদির পর হঠাৎ কমিয়া যায়, রোগীর চোখ মুখ থমথমে ও লালবর্ণ দেখায়, অল্পতেই ঠান্ডা লাগিয়া জ্বর হয়। অত্যন্ত মাথাব্যথা থাকে।
ব্রায়োনিয়াঃ রোগী নির্ঝুম হইয়া পড়িয়া থাকে, লক্ষণ নড়ন চড়নে বৃদ্ধি। সমস্ত শরীর ব্যথা, উহা নড়ন চড়নে বৃদ্ধি টিপিয়া দিলে উপশম হয়। রোগী উঠিয়া বসিলে মাথা ঘোরে গা-বমি বমি ভাব ও বমি। মুখের স্বাদ তিক্ত, জিহ্বায় সাদা বা হরিদ্রাবর্ণের লেপ পড়ে। অল্প ঘাম হয়। কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় না। পিপাসায় একসাথে অধিক পানি পান করে। ঘন ঘন পানি পান করে না। শীতল জল চায়।
জেলসিমিয়মঃ রোগী তন্দ্রাচ্ছন্ন ও অঘোরভাবে চুপ করিয়া পড়িয়া থাকে, কথাও বলে না-চাহিয়াও দেখে না, ইহাতে পিপাসা বড় একটা থাকে না। এতে রোগীর স্নায়ু দূর্বলতার জন্য রোগী চুপ করিয়অ পড়িয়া থাকে। হঠাৎ আনন্দ, ভয়, উত্তেজক কোন সংবাদ হইতে পীড়ার উৎপত্তি হলে। প্রবল মাথা ঘোরা ও দূর্বলতা।
আর্সেনিক এল্বমঃ ছটফটানি, গাত্রদাহ ও অত্যন্ত পিপাসা। পিপাসায় ঘন ঘন অল্প অল্প পরিমানে পানি পান করে একত্রে অধিক পানি পান করিতে পারে না কারন এতে রোগীর বমি হয়। অত্যন্ত দূর্বলতার কারনে শুয়ে থাকে। নাসিকা দিয়ে তরল জল। সামান্য ঠান্ডা লাগিয়াই পীড়া। জিহ্বা শুষ্ক, লালবর্ণের হয়। জ্বালা গরমে উপশম হয়। গাত্র জ্বালাজনক বেদনা।
রস টক্সঃ অত্যন্ত অস্থিরতা, ছটফটানি ও গাত্রদাহ। গাত্র বেদনা বিশেষত মাংসপেশীর বেদনা, বেদনার জন্য ছটফট করে ও তাহাতে বেদনার উপশম হয় এবং স্থির হইয়া থাকিলে বরং কষ্টের বৃদ্ধি হয়। জিহ্বার ডগায় লালবর্ণের একপ্রকার ত্রিভুজাকার দাগ দেখা যায়। অত্যন্ত ঘর্ম ও পিপাসা। বৃষ্টিতে ভিজিয়া বা ভিজা মাটিতে থাকিয়া পীড়া হইলে।
এলস্টোনিয়াঃ টাইফয়েড জ্বরের পর ও অন্য জ্বরে রক্তহীনতা দুর্ব্বলতায়।
আর্নিকাঃ আঘাত লাগিয়া পীড়ায়।
ব্যাপটিসিয়াঃ ছটফটানি বা তন্দ্রাচ্ছন্নভাব, প্রলাপ বকা, সমস্ত স্রাবে দুর্গন্ধ, ডাকিয়া সাড়া দিয়া আবার আচ্ছন্ন হয়, গায়ে বেদনা।
ক্রোটেলাসঃ জ্বরে নাক, মুখ, প্রস্রাবদ্বার প্রভৃতি স্থান হইতে রক্তস্রাব।
ইউপেটোরিয়াম পার্ফোঃ জ্বরে হাড়ভাঙ্গা বেদনা ও পিত্তবমি বা বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা।
ইপিকাকঃ জ্বরে বমি বা বমি বমি ভাব, জিহ্বা পরিষ্কার।
ডালকামারাঃ কাঁদা বা ভিজা মাটিতে কাজ করিয়া, ঠান্ডা লাগিয়া জ্বর হইলে।
সর্দ্দি জ্বরঃ একোনাইট, ইপিকাক, আর্সেনিক, জেলসিমিয়ম, এলিয়ম সিপা, ব্রায়োনিয়া, মার্কসল, পালসেটিলা, এন্টিম টার্ট।
ঠান্ডা লাগিয়া জ্বরঃ একোনাইট, বেলেডোনা, ডালকামারা, রস টক্স, মার্ক সল, ব্রায়োনিয়া।

বিঃদ্রঃ নিজ উদ্দোগে কোন ঔষধ সেবন করবেন না, নিকটস্থ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি ঔষধ সেবন করুন।


Share:

সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০২০

COVID-19 এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


COVID-19 এর মহামারীটি আক্রমণাত্মকভাবে সর্বত্র প্রসারিত হয় এবং এর প্রভাব আমাদের চারপাশে আক্রান্ত রোগীদের প্রতিদিনের ক্রমবর্ধমান হারে দেখা যাচ্ছে। সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা এই দুর্ঘটনা কাটিয়ে উঠার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে, তবে কেউই এর টেকসই ফলাফল অর্জন করতে পারেনি।
হোমিওপ্যাথিক নিরাময়ের প্রাকৃতিক এবং সূক্ষ্মমাত্রা কোনও ব্যক্তির কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতি ছাড়াই তার স্বাস্থ্যের পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করে। হোমিওপ্যাথি এই ধরনের মহামারী সংকটে খুব সহায়ক প্রমাণ করতে পারে।





মহামারী সম্পর্কে বিভ্রান্তি

এখন আমরা এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যখন বিভিন্ন প্রবীণ ব্যক্তিরা বিভিন্ন প্রতিকারের পরামর্শ দিচ্ছেন, তাই এই মহামারী সম্পর্কে সমস্ত হোমিওপ্যাথিতে প্রচুর বিভ্রান্তি রয়েছে।
স্কারলেট জ্বরের মহামারী চলাকালীন, অসংখ্য রোগীদের চিকিৎসার পরে ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান একই ধরণের ক্লিনিকাল উপস্থাপনা সহ রোগীদের পর্যবেক্ষণ করেছেন। লক্ষণগুলি বিশ্লেষণ করার পরে, তিনি এই রোগীদের নিরাময়ে ‘বেলাডোনা দরকারী বলে মনে করেন। ডাঃ হ্যানিম্যানের মতে এই ঔষধটি কেবল সেই রোগীদের নিরাময়ই করে না শুধু বরং এটি কার্যকর প্রতিষেধক ওষুধ হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপরে তিনি এ পরিস্থিতিতে একে “মহামারী” বলে অভিহিত করেছেন।
প্রতিটি রোগীর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পৃথক পৃথক পরীক্ষার পরে, তবেই হোমিওপ্যাথ উপযুক্ত হোমোওপ্যাথিক প্রতিকার সন্ধানে সফল হতে পারে। সুতরাং, মহামারী কেবল প্রাদুর্ভাবের লক্ষণ চিত্রটি ঘনিষ্ঠভাবে অধ্যয়ন করার পরে চিহ্নিত করা যেতে পারে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে, WHO COVID-19 কে একটি মহামারী রোগ হিসাবে ঘোষণা করেছে।
হোমিওপ্যাথি যেমন একটি ভাইরাল প্রকোপ চিকিৎসা এবং নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তবুও হোমিওপ্যাথিক ভ্রাতৃত্বের COVID-19 -এর চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলির অভাব রয়েছে।
(বিশেষত ভারতে খুব কম সংখ্যক নিশ্চিত হওয়া মামলা রয়েছে) তাই এখন পর্যন্ত আমরা মহামারী হিসাবে কোনও প্রতিকার ঘোষণা করতে পারি না।

হোমিওপ্যাথি কীভাবে সহায়তা করতে পারে

করোনার ভাইরাসের উদ্ভাসের বর্তমান উপলব্ধ ডেটা অনুসারে আমরা এর জন্য নিম্নোক্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দিতে পারি।

COVID-19 এর লক্ষণগুলি হ'ল:

শুষ্ক কাশি
নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
জ্বর
গলা ব্যথা
মাথা ব্যথা
অবসাদ
শরীরে ব্যথা এবং ব্যথা
ডায়রিয়া
প্রবাহিত বা বদ্ধ নাক

জটিলতা:

- নিউমোনিয়া
- কিডনি ব্যর্থতা
- পচন
উপরের উপসর্গ এবং জটিলতাগুলি রোগের তীব্রতা এবং তীব্র জরুরি প্রকৃতি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে আমাদের জানিয়ে দেয়। সুতরাং, আমাদের সেই প্রতিকারটি বেছে নিতে হবে যা রোগের একই রকম প্যাথো ফিজিওলজিকাল অবস্থাটি কভার করে।

হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসাঃ

COVID-19 এর সামগ্রিকতা বিবেচনা করে আমার অভিজ্ঞতা অনুসারে, সবচেয়ে সম্ভাব্য প্রতিকার হ'ল Napthalinum-30. (রেফারেন্ট ক্লার্কের মেটেরিয়া মেডিকা) 


·        তরুণ রোগের সঙ্গে তীব্র উচ্চ জ্বর।
·        শ্বাসকষ্ট: পরিশ্রমী এবং অনিয়মিত।
·        নিরবচ্ছিন্ন শ্বাস প্রশ্বাসের সহিত কাশি।
·        রাতে কাশি ঘুম ব্যহত করে।
·        কাশির সহিত নীল বা বেগুনি রঙের মুখ।
·        শ্লেষ্মা-নির্গমন: পাতলা, ঘন, প্রায় অনুপস্থিত।
·        জ্বর: হঠাৎ জ্বর শুরু হয়।
·        মাথা ব্যথা।
হোমিওপ্যাথির নীতিমালা অনুসারে, এটি ব্যক্তিটির অনাক্রম্যতা বজায় রাখার জন্য কাজ করে, সুতরাং এটি কার্যকর প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কোনও ব্যক্তির অদ্ভুত চরিত্রগুলি বিবেচনা করে পৃথকীকরণের প্রতিকারের অন্তর্ভুক্ত থাকে। প্রতিকার নির্বাচনের সময় কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য যা মিস করা উচিত নয় তা হ'ল:
তাপীয়, তৃষ্ণার্ত, রূপসমূহ, ঘুম, খাদ্য আগ্রাসী, আকাঙ্ক্ষা, অস্থিরতা।

হোমিওপ্যাথিক আরো কিছু ঔষধ যা বিবেচনা করা যেতে পারে তা হ'ল:
অ্যাকোনাইট, অ্যান্টিম.আর্ট, আর্সেনিক, বেলাডোনা, ব্রায়োনিয়া, ক্যামফোরা, কার্বো ভেজ, কক্কাস ক্যাকটি, চেলিডোনিয়াম, ডালকামারা, ড্রসেরা, জেলসেমিয়াম, কালী কার্ব, পালস, পাইরোজেন, রাস টক্স, স্পঞ্জিয়া।

সামর্থ্য নির্বাচন:

সামর্থ্য নির্বাচন এই কারণগুলির উপর নির্ভর করে:
- সমস্ত বয়সের জন্য উপযুক্ত
- সমস্ত সংবেদনশীলতায় কাজ করে
- হোমিওপ্যাথিক উত্তেজনা উস্কে দেয় না।
- গুরুতর তীব্র শর্তে কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে।
সুতরাং, আমাদের অভিজ্ঞতা অনুসারে, এই কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করে, 30c শক্তি, যা একটি মাঝারি শক্তি, সমস্ত সম্ভাবনাগুলি নির্দেশ করে। (দ্রষ্টব্য: ঔষধটি কোনও হোমোওপ্যাথিক চিকিৎসকের নির্দেশনা এবং পর্যবেক্ষণে নেওয়া উচিত।)

একসাথে আমরা পারি এবং আমরা করব -

হোমিওপ্যাথি একটি বিজ্ঞান এবং শিল্প, সুতরাং বিভিন্ন হোমিওপ্যাথ দ্বারা প্রতিকার পছন্দগুলি মধ্যে পার্থক্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিশ্বব্যাপী এই সঙ্কটকে জয় করতে আমাদের ভ্রাতৃত্বের হিসাবে একত্রিত হওয়া দরকার। আমাদের অবশ্যই সঠিক প্রমাণ সহ আমাদের চিকিৎসার একটি রেকর্ড রাখতে হবে এবং আমাদের এটি নিয়ে আলোচনা করা উচিত এবং এটি সম্পর্কে অন্যান্য হোমিওপ্যাথের মতামত নেওয়া উচিত যা আমাদের আরও গবেষণার জন্য প্রতিকার এবং চিকিৎসা খুঁজে পেতে সহায়তা করবে। বিশ্বকে জানান, হোমিওপ্যাথি এই জাতীয় সংকটের কার্যকর চিকিৎসা হতে পারে।
Share:

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০

মাস ভিত্তিক গর্ভস্থ ভ্রুণের বর্ধন চিত্র


প্রথম মাসঃ প্রথম কয়েকদিন ভ্রুণ অত্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তিন চারি দিনের পরেই ভ্রুণটির চওড়ায় মাপ দাঁড়ায় ০.০৪ ইঞ্চির মত। ৭-৮ দিনে .০৫ ইঞ্চি হয়। প্রথমেই শিশুর মাথা ও মস্তিষ্ক তৈরী হতে শুরু হয় এবং মাথাটাই সবচেয়ে তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। প্রথম মাসের শেষাশেষি ভ্রুণের শরীরের ভিতরে যন্ত্রগুলি তৈরী হতে শুরু হয়। হৃদপিন্ডটি এই সময় একটি ছোট নলের মতো দেখায় ও ধুকধুকি তখন হইতেই শুনা যায়। ভ্রুণের শিরদাঁড়াও এই সময় বেড়ে ইঠতে শুরু করে এবং নিচের অংশ লেজের মত দেখায়। ভ্রুনের প্রত্যঙ্গও এই সময় শুরু হয়। প্রথম মাসের ভ্রুণ জরায়ুর মধ্যে গোল পারিয়ে থাকে এবং লম্বায় .০২৫ ইঞ্চি বা .৫০ ইঞ্চির মতো হয়।
দ্বিতীয় মাসঃ এই মাসে শিশুর হাত-পা ক্রমে ক্রমে গড়ে ওঠে। এই সঙ্গেই এক জোড়া কনুই ও হাটু এবং পাতলা চামড়া দিয়ে জোড়া হাত পায়ের আঙ্গুল তৈরী হয়। শিরদাঁড়ার লেজের অংশটাও পুরোপুরি তৈরি হয় এবং বেশ বড় দেখায়। ফুসফুস, হৃদপিন্ড, পাকস্থলী, যকৃৎ, ক্ষুদ্র ও বৃহৎ অন্ত্রগুলি দেহের মধ্যে যথাস্থানে ক্রমশঃ সরে যেতে থাকে। মুখমন্ডলের বিভিন্ন অংশ যথা, চোখের পাতা, চোখের কোটর, নাক ইত্যাদিও এ সময়ে স্পষ্ট হয়ে উঠে। যদিও উপরিউক্ত যন্ত্রগুলি বাড়িতে থাকে, তথাপি উহারা অত্যন্ত ক্ষুদ্র এবং গর্ভস্থ শিশু লম্বায় মাত্র এক ইঞ্চির মত থাকে এবং ওজন মাত্র এক আউন্সের দশভাগের একভাগের চেয়েও কম থাকে। এই মাসের শেষভাগে গর্ভফুল বিকশিত হয়ে পরিণত আকার ধারণ করে এবং গর্ভস্থ ভ্রুণ জলের মধ্যে ডুবে থাকে।



তৃতীয় মাসঃ এ মাসের শিশুর লেজ আকারে কমতে শুরু করে এবং মাসের শেষে উহা সম্পূর্ণ লোপ পায়। হাতের ও পায়ের আঙ্গুলের মধ্যেকার চামড়ার জোড়গুলি খসে পড়ে। হাত-পায়ের আঙ্গুলের নখ দেখা দেয় এবং মুখের মাড়িতে ছোট ছোট মাংসের কুড়ি দেখা দেয়। এ মাসের শিশুর ওজন এক আউন্সের কিছু কম থাকে। এই মাসের শেষে শিশুর যৌন অঙ্গগুলি প্রথম স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শিশু যদি মেয়ে হয়ে থাকে তবে এই মাসের শেষে তার একটি ক্ষুদ্র জরায়ুও তৈরী হতে শুরু হয়।
চতুর্থ মাসঃ এই মাসে সন্তান দ্রুত বাড়তে থাকে। এই মাসের শেষে শিশু চার থেকে ছয় ইঞ্চির মত লম্বা হয় এবং তার ওজন বেড়ে প্রায় চার আউন্সের মতো হয়। এই সময় ভ্রুণটি একটি পূর্ণাঙ্গ শিশুর মতই দেখতে লাগে। এই মাসে শিশুর মাথায় চুল ও গায়ে লোমের আভাস দেখা যায়। চার মাসের শেষে মাংসপেশীগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং শিশুটি একটু একটু নড়াচড়া করতে আরম্ভ করে।
পঞ্চম মাসঃ এ মাসে মাংসপেশীগুলি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং প্রসূতি বেশ অনুভব করে যে, শিশু বেশ নড়াচড়া করিতেছে। এই মাসেই স্টেথোস্কোপের সাহায্যে শিশুর হৃদস্পন্দন প্রথম ধরতে পারা যায়।
ষষ্ঠ মাসঃ এই মাস হইতেই শিশুর আকার ও ওজন দ্রুত বেড়ে উঠে। প্রসূতির পেটের (জরায়ুর) আয়তন যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়। এই মাসের শেষভাগে শিশু লম্বায় দশ ইঞ্চির মতো হয় ও ওজন প্রায় দেড় পাউন্ড হয়। এই মাসে শিশু খুব বেশী নড়াচড়া করতে থাকে, মনে হয় গুতো মারছে। এই প্রকার নড়াচড়া শেষ মাস অবধি চলতে থাকে। এই নড়াচড়া সর্বক্ষণ নাও হতে পারে, কখনও কখনও প্রসূতি নড়াচড়া একেবারেই অনুভব না করতে পারে।
সপ্তম মাসঃ এ মাসে শিশু নানাভাবে নড়াচড়া করে ও অবস্থানেরও কোন ঠিক থাকে না, তবে সাধারনতঃ মাথা নিচের দিকে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে আড়াআড়িভাবে বা পা ও পাছা নিচের দিকে থাকে। শিশুর শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলি এই মাসে পুরোপুরি বিকশিত হয়। এই মাসের শেষভাগে যদি কোন কারণে সন্তান প্রসব করে উপযুক্ত যত্ন ও তত্ত্বাবধান করিলে শিশু বেচে যায়।
অষ্টম মাসঃ এই মাসে শিশু দেহে একটু একটু করে মদে বা চর্বি জমতে শুরু করে। শিশুর ওজন চার পাউন্ডের মতে হয়। এই মাসে ভূমিষ্ঠ হলে সন্তানের বেচেঁ থাকার সম্ভাবনাই বেশী।
নবম মাসঃ এই মাসে শিশুর মাথায় সুন্দর চুল দেখা যায় এবং শরীরে যে চুল পূর্বে দেখা গিয়াছিল তা বেশীর ভাগই খসে যায়। শিশু এই মাসে আরও দ্রুত বড় হয়। এই মাসে শিশুর ওজন পাঁচ হইতে ছয় পাউন্ড হয় এবং লম্বায় ১৬-১৮ ইঞ্চি হয়। অবশ্য দেশ বা ব্যক্তিবিশেষে এর তারতম্য হতে পারে।

Share:

মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২০

চিকিৎসকের উদ্দেশ্য (অর্গানন অব মেডিসিন সূত্র নং-০১)


চিকিৎসকের একমাত্র উদ্দেশ্য রুগ্ন ব্যক্তিকে পুনঃ স্বাস্থ্যে প্রতিষ্ঠিত করা।


প্রত্যেক মানুষের জীবনে যেমন একটা উদ্দেশ্য থাকে তেমনিই একজন চিকিৎসকেরও রোগী চিকিৎসার ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য থাকা প্রয়োজন। আর তা হলো রুগ্ন ব্যক্তিকে পুনঃস্বাস্থ্যে প্রতিষ্ঠিত করা। রুগ্নতাকে সুস্থতায় পর্যবসিত করা, রূপান্তরিত করা একমাত্র কর্ম ও লক্ষ্য। আর এই ব্রত পালন করিতে গেলে চিকিৎসকদের সর্বতোভাবে উপযুক্ততা অর্জন করিতে হবে। সেজন্য হ্যানিম্যান উপদেশ দিয়েছেন যে ‘রোগীকে নীরোগ’ করাই একজন চিকিৎসকের জীবনের প্রধান লক্ষ্য। আরোগ্য কথাটির অর্থ রোগীর শুধু মাত্র দু-একটি কষ্টকর রোগলক্ষণ দূরীভূত করাকেই বুঝায় না, রোগীকে সম্পূর্ণভাবে নীরোগ করিয়া রোগীর স্বাস্থ্য পুনঃরুদ্ধার করাকে বুঝায়। যে পর্যন্ত রোগী তাহার পূর্ব স্বাস্থ্য পুনঃরুদ্ধার  করিতে সমর্থ হইবে না ততক্ষন পর্যন্ত রোগী নীরোগ হইল না বুঝিতে হইবে। তীব্রতর লক্ষণ কমিয়া গেলে যদি মনে করা হয় রোগীর রোগ ভাল হইয়া গেল কিন্তু তাহা সঠিক নয়। রোগীটি সর্বাঙ্গীনভাবে সুস্থ হইল কিনা তাহা ভাবিয়া দেখিতে হইবে। উদাহরনস্বরূপ, কোন রোগীর জ্বর হইল, তাহার পর কোন ঔষধ প্রয়োগ করিয়া জ্বর ভাল হইয়া গেল। কিন্তু মুখের স্বাদ নষ্ট হইয়া গেল, কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় না বা তরল বাহ্যে হয়, মাথা ঘোরে, অনিদ্রা সহ অন্যান্য আরো লক্ষন রহিয়া গেল। এইরূপ স্থলে রোগীর জ্বর ভাল হইল কিন্তু রোগী নীরোগ হয় নাই। গাত্রতাপ কমিলেই জ্বর ভাল হইল আপতদৃষ্টিতে বলা চলে কিন্তু রোগী আরোগ্য হইয়াছে তাহা বলা চলে না। এমতাবস্থায় রোগীর সমস্ত রোগ লক্ষণ সংগ্রহ করিয়া রোগীকে ঔষধ প্রয়োগ করিতে  হইবে যাহাতে শুধু গাত্রতাপ নহে রোগীতে প্রদত্ত সকল রোগ লক্ষণ দূরীভূত হয় এবং রোগী পুনঃস্বাস্থ্য ফিরে পায়। সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি রোগী সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করিল।



পূর্ণ আরোগ্য করিতে হলে রোগীকে কোন রোগের নামের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা যাবে না। রোগী চিকিৎসা করিতে হবে রোগীর লক্ষণের উপর ভিত্তি করে। হোমিওপ্যাথিতে কোন রোগের চিকিৎসা করা হয় না রোগীর চিকিৎসা করা হয়। একজন চিকিৎসকের মূল লক্ষ্য রোগীকে পুনঃস্বাস্থ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে চিকিৎসকের উচিত রোগীকে রোগের উপর ভিত্তি করে নয় রোগীতে প্রদত্ত সমস্ত রোগ লক্ষণের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা। রোগী চিকিৎসাকালে কোন একটি অংগ বা কোন একটি লক্ষণের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা যাবে না। রোগীকে চিকিৎসা করার সময় রোগী হতে সমস্ত রোগ লক্ষণ ও সমস্ত অংগের লক্ষণ সংগ্রহ করতে হবে। প্রাপ্ত সমস্ত লক্ষণের উপর ভিত্তি করে রোগীতে ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। কোন একটি অংগ বা একটি লক্ষণের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হলে হয়তো বা উক্ত লক্ষণ দূরীভূত হবে কিন্তু রোগী পূর্ণ আরোগ্য লাভ করবে না। এতে চিকিৎসকের লক্ষ্য অর্জন হবে না।
অতএব, একজন চিকিৎসকের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া ‍উচিত রোগীকে পুনঃস্বাস্থ্যে প্রতিষ্ঠিত করা।

Share:

সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০

একজন রোগী করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কি না বুঝার উপায়


করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে বুঝার উপায়

১. আপনার সর্দি হয়েছে কিন্তু কাশি নাই- করোনা হয় নাই।
২. আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে কিন্তু শুকনো কফ হয় নাই- করোনা হয় নাই।
৩. আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে, শুকনো কফ হয়েছে কিন্তু জ্বর হয় নাই- করোনা হয় নাই।
৪. আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে, শুকনো কফ হয়েছে, জ্বর হয়েছে কিন্তু জ্বর নেমে গেছে- করোনা হয় নাই।
৫. আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে, শুকনো কফ হয়েছে, জ্বর হয়েছে এবং জ্বর নামেনি কিন্তু শ্বাস কষ্ট হয়নি- করোনা হয় নাই।
৬. আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে, শুকনো কফ হয়েছে, জ্বর হয়েছে এবং জ্বর নামেনি, শ্বাস কষ্ট হয়েছে এবং শরীর ব্যথা- করোনা হয়েছে।



আপনার লক্ষণ ক্রমিক নং ১-৫ পর্যন্ত হলে আতঙ্কিত না হয়ে একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয়ে লক্ষণ ভিত্তিক ঔষধ সেবন করুন।
রোগীর লক্ষণ ৬ নং ক্রমিকে পৌঁছালে একজন ডাক্তারের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করুন তবে মনে রাখতে হবে কোন অবস্থাতেই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না।

Share:

Clock

Facebook Page

ব্লগ সংরক্ষাণাগার